অনুব্রত এখন নেই, বীরভূমের দায়িত্ব নিজেই সামলাবেন মমতা, জানালেন বৈঠকে, দায়িত্ব বাড়ল সিদ্দিকুল্লা-অরূপদের

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। আর এমন সময় ফাঁকা পড়ে রয়েছে বীরভূম। কারণ সেখানকার তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) গরু পাচার কাণ্ডে (cattle smuggling case) আপাতত দিল্লিতে। সেই কারণে এবার অনুব্রতহীন বীরভূমের দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতকাল, শুক্রবার কালীঘাটের বৈঠকে এমনটাই জানালেন তিনি। এর পাশাপাশি আরও কয়েকজনের সাংগঠনিক দায়িত্বও বাড়ানো হয়েছে।
গত আগস্ট মাসে গরু পাচার কাণ্ডের জেরে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। আপাতত তিনি দিল্লিতে রয়েছেন ইডি-র হেফাজতে। তাঁর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া পর তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও, অনুব্রতর ক্ষেত্রে তেমনটা করতে দেখা যায়নি তৃণমূলকে। কিন্তু অনুব্রত না থাকায় ফাঁকা তাঁর গড়। অনেকেই মনে করেছিলেন যে এদিনের কালীঘাটের বৈঠকে হয়ত বীরভূমের সংগঠনে বদল আসতে পারে। কিন্তু তেমনটা হল না। বীরভূমের দায়িত্ব নিজেই নিলেন মমতা। অর্থাৎ অনুব্রতর পদ এখনও বহাল।
এদিনের এই বৈঠকে সাংগঠনিক স্তরে নানান গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাবিনা ইয়াসমিন তো রয়েছেনই। এবার তাঁর পাশাপাশি মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরের সংগঠন দেখাশোনা করবেন সিদ্দিকুল্লাও। এদিকে, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান এবং দার্জিলিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অরূপ বিশ্বাসের উপর। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানের সংগঠন দেখাশোনার ভার দেওয়া হয়েছে মলয় ঘটককে। অন্যদিকে, তাপস রায়কে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্বএ।
সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, “দলের তরফে পর্যবেক্ষক বলে কাউকেই ঘোষণা হয়নি। এঁরা প্রত্যেকেই সংশ্লিষ্ট জেলা দেখবেন বলে বলা হয়েছে। দলের তরফে তাঁরা জেলার সংগঠন দেখবেন। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের কিছু কিছু পদ্ধতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। এখন কোনও অবজার্ভার নেই, দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পর্যবেক্ষক পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ একজনের দায়িত্ব রয়েছে, পরবর্তীকালে তাঁদের বদলে দেওয়া হতে পারে”।
এদিনের এই বৈঠকে বদল আনা হয় সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বেও। হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি নিজের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করছেন না। সেই কারণে এবার সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্ব মোশারফ হোসেনকে দিলেন মমতা। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে র ফলাফল নিয়েও এদিন আলোচনা হয় বৈঠকে।
এদিন দলনেত্রী বলেন, “সংখ্যালঘুরা আমাদের পাশেই আছেন। সংখ্যালঘু ভোট কমেনি৷ সাগরদিঘিতে হার আমাদের দুর্বলতার কারণে। সুব্রত সাহা তো হিন্দু ছিলেন তাহলে উনি তিনবার কী করে জিতলেন”? হারের কারণ খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের তরফে।