‘প্রধানমন্ত্রী হতে চান’, প্রশ্ন শুনেই মমতার জবাব, ‘বড় কোনও পদ বা জিনিসে আমার কোনও মোহ নেই’!
একুশের নির্বাচনে জিতে তৃতীয়বার বাংলায় ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছে তৃণমূল (TMC)। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর এরপর থেকেই জাতীয় রাজনীতির দিকে পা বাড়িয়েছে তৃণমূল। এই কারণে বাংলা ছাড়াও অন্যান্য রাজ্যে সংগঠনকে মজবুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ঘাসফুল শিবির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী (Prime Minster) করাই যে এখন তৃণমূলের একমাত্র লক্ষ্য, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কিন্তু খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী আদৌ প্রধানমন্ত্রী হতে চান? তাঁর কী এমন কোনও বাসনা রয়েছে মনে? এবার নিজের মুখেই মমতা জানান যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও মোহ নাকি তাঁর নেই। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য হল মানুষের মুখে হাসি ফোটানো ও দেশের উন্নয়ন।
আজ, সোমবার কলকাতায় ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ইস্ট অনুষ্ঠানে বিরোধী ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে যেখানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওরা ভবিষ্যতের নেতা হয়ে উঠতে চান, সেখানে বিরোধী দলগুলিকে একজোট করতে কংগ্রেসের প্রয়োজন আছে কী?
এর উত্তরে মমতা বলেন, “আমি প্রথমেই বলে দিচ্ছি যে আমার বড় কোনও পদ বা বড় কোনও জিনিসের প্রতি মোহ নেই। আমার সেজন্য কোনও কাজ (নরেন্দ্র মোদীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা) করি না। কখনও কখনও আমাদের কোনও কিছু উৎসর্গ করতে হয়। যদি প্রয়োজন পড়ে, তাহলে কাউকে বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধতে হয়”।
এরপরই মমতাকে প্রশ্ন করা হয় যে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান কী না? এই প্রশ্নের উত্তরে মমতার জবাব, “আমার কোনও কিছুতে মোহ নেই। আমার একটাই বিষয়েই মনোযাগ আছে – আমার দেশ অগ্রগতি, আমার দেশ উন্নয়ন, আমার যুব সম্প্রদায় কর্মসংস্থানের সুযোগ, মহিলাদের ক্ষমতায়ন, কৃষকদের হাসি, শ্রমিকদের হাসি, সারা বিশ্বের আমাদের দেশের দারুণ ভাবমূর্তি গড়ে ওঠা এবং সবাই মিলে জোটবদ্ধ ভারত গড়ে তোলা”।