‘আপনার একটা ভোট না পেলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে আমার’, প্রচারে দাবী মমতার, চাপের মধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো?
আর বেশিদিন বাকী নেই, সামনেই উপনির্বাচন। ভবানীপুরে ভোট হলেও কিন্তু এই লড়াইটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সহজ নয়। ভবানীপুর মমতার দুর্ভেদ্য গড় হলেও পুরোপুরিভাবে চিন্তামুক্ত হতে পারছেন না তৃণমূল নেত্রী। আর তাঁর প্রচারের সময় বলা নানা বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট।
মমতার গড়ে এসে ভালোমতোই প্রচার চালাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। মানুষ তাঁর কথা শুনছেনও। এর জেরেই বেশ কিছুটা স্নায়ু চাপের মধ্যেই দ্দিন কাটছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। বিশেষ করে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারের পর এটা বেশ প্রমাণিত যে মমতা অপরাজেয় নয়। আর এই কারণেই উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ যে গড়ে দাঁড়িয়ে তাঁর নিশ্চিত জয় হওয়ার কথা, সেই গড়ে দাঁড়িয়েই তাঁকে বলতে শোনা গেল, “আপনার একটা ভোট না পেলে ক্ষতি হয়ে যাবে আমার, আমাকে আর পাবেন না’।
আসলে, মমতাকে আরও বেশি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে নবান্নের গদি। ছয় মাসের সময়সীমা প্রায় শেষের দিকেই। এখন তৃণমূল নেত্রীর একমাত্র ভরসা ভবানীপুর। মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখতে গেলে এই কেন্দ্র থেকে মমতাকে জিততেই হবে।
নন্দীগ্রামের থেকে এই চিত্রটা যদিও অনেকটাই আলাদা। ভবানীপুরে মমতার প্রতিপক্ষ প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। তিনি শুভেন্দু অধিকারীর মতো সেরকম বড় মাপের মুখ নন। আবার তিনি যে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সেরকম দাপুটে নেত্রী, সেই পরিচয়ও এখন পর্যন্ত মেলেনি।
কিন্তু তা সত্ত্বেও মমতার বিরুদ্ধে বিজেপি ট্রাম্প কার্ড কিন্তু প্রিয়াঙ্কাই। আর এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁকে বেশ সমীহ করেই চলছেন। তিনি ভালোমতোই জানেন যে তাঁকে যদি ফের নবান্নের ওই চোদ্দ তলায় গিয়ে বসতে হয়, তাহলে নন্দীগ্রামের মতো ঘটনা ভবানীপুর উপনির্বাচনে ঘটলে মোটেই চলবে না।
আর এই কারণেই যে ভবানীপুর তাঁর নিজের গড়, যা তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা, সেখানেও ভোট চাইতে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না তৃণমূল সুপ্রিমো। বারবার করে অনুরোধ করেছেন তিনি যে যদি বৃষ্টি হয়, বা যদি আবহাওয়া খারাপ থাকে, তাহলেও যেন কেউ বাড়িতে বসে না থাকেন, সবাই যেন ভোটটা দেন। কেউ যেন এমনটা না ভাবেন, মমতা তো জিতেই যাবেন, তাই ভোট দিতে না গেলেও চলবে।
বলে রাখি, মমতার বিপরীতে বিজেপির হয়ে যিনি লড়ছেন, সেই প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল ভোট ময়দানে অপরিচিত মুখ কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি কিন্তু তৃণমূল নেত্রীকে বেশ চাপেই রেখেছেন। নির্বাচন কমিশনে তিনি ইতিমধ্যেই চিঠি দিতে দাবী করেছেন যে মমতকা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর হলফনামায় সমস্ত তথ্য উল্লেখ করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে কতগুলি কেস চলছে, তা কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলফনামাতে জানান নি।