হাতির হানায় তটস্থ সুন্দরবন, তাণ্ডব রুখতে এবার হিঙ্গলগঞ্জে প্রকৃতি পুজো করবেন মুখ্যমন্ত্রী

সুন্দরবনে হাতির হানা ক্রমেই বাড়ছে। জঙ্গলে খাবার না পেয়ে হাতির দল মাঝেমধ্যেই ধানখেতে চলে আসছে। এর জেরে বিঘা বিঘা ধানজমি নষ্ট হচ্ছে। আর হাতির হামলায় প্রাণও হারাচ্ছেন সুন্দরবনের মানুষ। সেই কারণে এবার হাতির এই তাণ্ডব রোখার জন্য প্রকৃতি পুজো করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, বুধবার বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগামী মঙ্গলবার আমি হিঙ্গলগঞ্জে বৃক্ষ পুজো করব। ইদানীং হাতির হানা বেড়েছে। জঙ্গলে খাবার না পেয়ে ধান খেতে ঢুকে পড়ে ওরা। অনেক জমি নষ্ট হয়। প্রাণ যায়”। তিনি জানান, স্থানীয় বনকর্মী, জঙ্গলের বাসিন্দাদেরও এই পুজোয় শামিল করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এতে কর্মসংস্থান হবে। বনকর্মীদের ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি চাকরির ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান মমতা।
প্রাকৃতিক কারণের জেরে সুন্দরবনের মানুষকে মাঝেমধ্যেই নানান সমস্যায় পড়তে হয়। হাতির হানার সঙ্গে এখানে ঝড়-সাইক্লোন নিয়েও বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “সুন্দরবনের ব্যাপারে মাস্টার প্ল্যান করে আমরা নীতি আয়োগে জমা দিয়েছি। প্রতি বছর সাইক্লোন হয়, বন্যা হয়। মাস্টার প্ল্যান হলে সমস্যা মিটবে। আমি বনমন্ত্রীকে বলব, আরও সিরিয়াস হয়ে বিষয়গুলি দেখতে”। এর আগেও সুন্দরবনের উন্নয়ন গিয়ে একাধিক পদক্ষেপের কথা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।
এদিন ফের বিধানসভায় কড়া বার্তা দিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথা, “এক চোখ বন্ধ করে, আরেক চোখ দিয়ে আমি দেখতে পারি না। বৃক্ষরোপণ করতে হবে, মানুষকে বাঁচাতেও হবে। আমি নিজে মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জ যাব। সেখানে প্রকৃতি পুজো করব”।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান যে জেলাশাসকদের বলা রয়েছে যাতে বাঘ বা কাঁকড়া ধরতে গিয়ে কুমীর বা হাতির আক্রমণে কারোর মৃত্যু হলে সেই বিষয়টি যাতে সঙ্গে সঙ্গে দেখা হয়। এর পাশাপাশি স্থানীয়রা যাতে চাকরি পান, তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বন দফতরকে। এদিন মমতা এও বলেন যে স্থানীয়দের চাকরি পাওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক হওয়া প্রয়োজন।