কেনও দল ছাড়লেন দেবশ্রী রায়? রায়দিঘিতে স্পষ্ট কারণ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তিনি নাকি বারবার দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। রায়দিঘির বিধায়ক হওয়ায় তাঁকে নাকি বারবার হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। তবে শেষ বেলায় দলবদলের জোয়ারে তৃণমূলে সম্মান নেই বলে শাসক শিবির ছেড়েছেন রায়দিঘির দু’বারের বিদায়ী বিধায়ক দেবশ্রী রায়।
কিন্তু অভিনেত্রীর এহেন দাবিকে কখনই সম্মতি জানায়নি জোড়া ফুল শিবির। জোড়া-ফুলের অন্দরের খবর ছিল, টোটোকাণ্ড, এলাকায় না দেখতে পাওয়ার কারণে দেবশ্রীকে নিয়ে রায়দিঘির মানুষের বিস্তর অভিযোগ-অসন্তোষ ছিল। আর তার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকার কারণেই এবার আর টিকিট পাননি রূপোলি পর্দার এই প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন- ‘গোড়ালির কাছে অ্যাঙ্কেল ভেঙে গেছে’, সেই পা দোলাচ্ছেন মমতা! দেখুন পর্দাফাঁস ভিডিও
আর এদিন রায়দিঘিতে দাঁড়িয়ে দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের কথা মেনে নিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ‘দেবশ্রী রায়কে নিয়ে ক্ষোভ ছিল, তাই ওঁকে প্রার্থী করিনি। আর সেই রাগেই ও বিজেপিতে যোগ দিয়েছে।’ ছাড়াও প্রচারমঞ্চ থেকে এদিন বিজেপিকে তুলোধনা করেন মমতা।
এদিন আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল মিমকেও কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন হিন্দু-মুসলমান ভোট ভাগাভাগির জন্যই এই রাজ্যের ভোটে বিজেপি হায়দরাবাদ থেকে তাদের এক বন্ধু আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ মমতার। একই সঙ্গে বাম-কংগ্রেস মোর্চার শরিক আইএসএফ পৃষ্ঠপোষক আব্বাস সিদ্দিকিকে ‘চ্যাঙড়া’ বলে তোপ দাগেন মমতা।
এক ঝলকে দেখে নিন এদিন রায়দিঘিতে কী বলেছেন মমতা?
১. দেবশ্রী রায় কে নিয়ে নিজের বক্তব্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘দেবশ্রী রায়কে নিয়ে ক্ষোভ ছিল, তাই ওঁকে প্রার্থী করিনি। আর সেই রাগেই ও বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। কলকাতা থেকে এত দূরে আসতে পারত না। যিনি এখানকার বিজেপি প্রার্থী, তিনি তৃণমূলের টিকিট চেয়েছিলেন l
২. এরপরেই বিজেপিকে নিশানায় নিয়ে তাঁর বক্তব্য ‘বিজেপির সবটাই তৃণমূলের থেকে ধার করা। বেশিরভাগটাই সিপিএমের হার্মাদ রয়েছে, বাকিটা আমাদের দলের গদ্দাররা।’
৩. আমফান বিপর্যয়ের কথা উল্লেখ করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন তখন কেউ ছিল না। আমি রাত জেগে পাহারা দিয়েছি। দু-একটা জায়গায় যাঁরা সাহায্য পাননি আমি তাও করে দেব বলে কথা দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন – অবিশ্বাস্য কাণ্ড কুম্ভমেলায়! এই সাধুর আশীর্বাদেই মিলছে সমাধান! দেখুন ভিডিও
৪. মিমকে আক্রমণ করে তাঁর বক্তব্য ‘সংখ্যালঘু ভাই-বোনেদের বলব হায়দরাবাদ থেকে বিজেপির এক বন্ধু এসেছে। আর ফুরফুরা শরিফের এক চ্যাঙড়াকে নিয়ে সে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কমিউনাল স্লোগান দিচ্ছে। আর হিন্দু মসলমানে ভাগাভাগির চেষ্টা করছে। আর মুসলমানের ভোটটাকেও ভাগাভাগির চেষ্টা করছে।’
৫. এদিনও নন্দীগ্রাম নিয়ে আত্মবিশ্বাসী শোনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের গলা। তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রামে আমার ভোট খুব ভালো হয়েছে। ওর যা করেচিল। মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছেন।’