অবাক কাণ্ড রাজ্যে! অসুস্থতার দোহাই দিয়ে পাঁচমাস স্কুলেই যান না শিক্ষিকা, শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে পড়ুয়াদের পড়াচ্ছেন ভাড়া করা যুবক

দীর্ঘ পাঁচমাস ধরে শিক্ষিকাকে স্কুলমুখী হতে দেখা যায়নি। তাঁর পরিবর্তে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে পড়ুয়াদের পড়াচ্ছেন শিক্ষিকার ভাড়া করা যুবক। এই ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়ার সুনিয়া শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে।
স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, কাটোয়া ১ ব্লকের কোশিগ্রাম অঞ্চলের সুনিয়া গ্রামে যে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রটি রয়েছে, তাতে ৩৬ জন পড়ুয়া পড়াশোনা করে। শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে আলাদাভাবেই একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও চলে। সেখানে রয়েছেন একজন শিক্ষিকা। নাম তাপসী বিশ্বাস। জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকার বাড়ি কাটোয়ার রাজুয়া গ্রামে৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাপসীদেবী ঠিকমতো স্কুলেই যান না। আর তার পরিবর্তে পড়ুয়াদের ক্লাস নিচ্ছেন এক যুবক। জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরের আবাসন এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ মণ্ডল নামের ওই যুবক তাপসী বিশ্বাসের নির্দেশেই কেন্দ্রটি চালাচ্ছেন ও পড়ুয়াদের ক্লাস নিচ্ছেন। গত পাঁচমাসে নাকি দুই শিক্ষিকাকে ওই কেন্দ্রে দেখা গিয়েছে।
বাসিন্দাদের কথায়, “ওই দিদিমণি আমাদের বলেছেন তাঁর নাকি শরীর খারাপ। তাই তিনি অন্য একজনকে ঠিক করে দিয়েছেন। তাঁকে দিদিমণি মাইনে দেন”। কাটোয়া পশ্চিম চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক পিনাকি ঘোষ বলেন, “যা শুনলাম তাতে এটা করা যায় না। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি”।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা তাপসী বিশ্বাস বলেন, “আমার চারটি অপারেশন হয়েছে। শারীরিক সমস্যার কারণে সবদিন ক্লাস নিতে পারি না। সহযোগীতা করার জন্য একজনকে নিয়ে এসেছি৷ যেদিন ক্লাস নিতে পারি না সেদিন ওই ভাই ক্লাস নেয়”।
তবে তাপসীদেবীর দাবী, তাকে সাহায্য করার জন্য তিনি ফিরোজকে কোনও পারিশ্রমিক দেন না। সুতরাং ভাড়া করার কোনও প্রশ্ন নেই। এই বিষয়ে ফিরোজ মণ্ডল বলেন, “দিদিমনি অসুস্থ। তাই আমাকে উনি ওনার সহযোগী হিসাবে নিয়ে আসেন। আমি শিক্ষিত। ক্লাস নিই”।