বছর শেষে রাতারাতি ভাগ্যের চাকা ঘুরল ফরাক্কার যুবকের, কোটি টাকা জিতলেন খোদ লটারি বিক্রেতা, টিকিট নিয়ে সোজা হাজির থানায়

বছর শেষ হতে আর মাত্র কিছুদিন বাকি। এরই মধ্যে ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেল ফরাক্কাত্র এক যুবকের। লটারির টিকিট কেটে একেবারে এক কোটি টাকা জিতলেন তিনি। রাতারাতি বদলে গেল তাঁর ভাগ্য।
গতকাল, শুক্রবার সন্ধ্যায় লটারিতে এক কোটি টাকা জিততেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন ফরাক্কার শ্রীরামপুর এলাকার যুবক নবাব শরিফ খান। কিন্তু এরপরই যেন তাঁর জীবনে নেমে আসে আতঙ্ক। এত টাকা পেয়ে সোজা তিনি দ্বারস্থ হন থানায়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, শ্রীরামপুর এলাকার যুবক নবাব শরিফ খান নিজেই লটারির টিকিট বিক্রি করেন। সম্প্রতি, অন্যান্য সমস্ত টিকিট বিক্রি করলেও, নিজেই একটি টিকিট কেটেছিলেন তিনি। আর তাতেই তাঁর ভাগ্য ফিরল। লটারির টিকিট বিক্রি করে অন্যান্য মানুষের ভাগ্য বদলে দেওয়া যুবকের ভাগ্য বদলে গেল নিমেষেই। তিনি হয়ে গেলে কোটিপতি।
নিজের টিকিটেই যে তিনি এক কোটি টাকা জিতেছেন, তা যেন প্রথমে বিশ্বাসই হচ্ছিল না নবাব ও তাঁর পরিবারের। কোটি টাকা জয়ের আনন্দে বেশ উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন তিনি। লটারিতে এক কোটি পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তে নবাবের বাড়িতে ভিড় জমান প্রতিবেশীরা।
কিন্তু এরইসঙ্গে ভয় গ্রাস করে তাঁকে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন, তা ভেবে অস্থির হয়ে ওঠেন নবাব। তাঁর এই অর্থের উপর যে অনেকেরই নজর পড়তে পারে, সে আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওকা যায় না। এই কারণেই আজ, শনিবার সকালেই লটারির টিকিট নিয়ে নবাব হাজির হন সোজা ফরাক্কা থানায়। পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে রাখেন তিনি।
এর আগেও অনেকবার দেখা গিয়েছে যে লটারি কেটে টাকা জেতার পর তা নিয়ে ভয়ে ভয়ে থানায় পৌঁছেছেন জয়ীরা। নবাবও সেই পথেই হাঁটলেন। তবে বছর শেষে তাঁর ঘরে যে লক্ষ্মীলাভ হল, তাতে যে তিনি ও তাঁর পরিবার ভীষণ খুশি, তা বলাই বাহুল্য।