বাবার মৃত্যুর পর কাটে নি একরাতও, বাড়ির সমস্ত টাকাপয়সা-সোনাদানা হাতিয়ে চম্পট সৎ মায়ের, পুলিশের দ্বারস্থ একলা নাবালিকা

বাবার মৃত্যু হয়েছে গত শনিবার। এরপর একরাতও কাটে নি। তারই মধ্যে বাড়ির সব টাকাপয়সা, সোনা-গয়না নিয়ে চম্পট দিলেন সৎ মা। আর বাড়িতে পড়ে একা নাবালিকা। গতকাল, রবিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে ওই নাবালিকা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বারাসাতের কাজিপাড়া এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গত শনিবার আরজিকর হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার বাবার। তার মা মারা গিয়েছেন বছর দশেক আগেই। নাবালিকার কথায়, মায়ের মৃত্যুর পর একজন মহিলা দেখাশোনা করবে বলে কাজিপাড়া বাড়িতে আসে। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের বাড়িতে রয়েছেন তিনি। হঠাৎই বাবা অসুস্থ হয়ে পরে। ব্রেন টিউমার ধরা পরে। বাবাকে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, এরপর বাড়িতে থাকা টাকা-পয়সা, সোনা-দানা নিয়ে সৎ মা দত্তপুকুরে নিজের বাড়ি চলে যায়।
নাবালিকা পরে টাকাপয়সা, সোনা-গয়নার কথা জানতে চাইলে সব স্বীকার করেন ওই মহিলা। বলেন যে সবকিছু তার কাছেই রয়েছে। কিন্তু নাবালিকার বাবার মৃত্যুর পর ওই সোনা গয়না, টাকাপয়সা নাবালিকা ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকার করেন ওই সৎ মা। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হয় সে।
নাবালিকা জানায়, “আমাকে ওই মহিলা দেখাশোনা করতেন। প্রথমে ফোন করায় কেউ ধরছিল না। পরে ওই মহিলার ভাই ফোন ধরে বলেন, কোনও গয়নাগাটি, পয়সা উনি দেবেন না। আমাকে উনি চেনেন না। দশ, পনেরো দিন আগে উনি চলে যান”, নাবালিকা জানায়, গত ১০ জানুয়ারি তার বাবা হাসপাতালে ভর্তি হন। গত শনিবার বিকেল চারটের সময় তার বাবার মৃত্যু হয়। এরপর কোনও টাকা পয়সা, গয়না খুঁজে না পাওয়ায় ওই নাবালিকার সন্দেহ হয়।
এরপরই দত্তপুকুরে দীঘরা এলাকায় তার আত্মীয়দের সঙ্গে গেলেও টাকাপয়সা, সোনাদানার কথা অস্বীকার করে। এরপরই বারাসাত থানায় লিখিত অভিযোগ জানায় ওই নাবালিকা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই নাবালিকার সৎ মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে খবর।