২১ জন তৃণমূল বিধায়ক যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে, কলকাতায় এসে বিস্ফোরক দাবী করলেন মিঠুন চক্রবর্তী
এর আগেও তিনি এমন দাবী করেছিলেন। আর এবারও সেই একই ধরণের দাবী উঠে এল তাঁর মুখে। অনেক তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) যোগাযোগ রাখছেন বিজেপির সঙ্গে। আজ, শনিবার বিজেপির (BJP) হেস্টিংসের কার্যালয়ে এসে এমনটাই দাবী করলেন বিজেপি নেতা তথা বলি তারকা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।
এদিন তিনি বলেন, “ভিত্তিহীন কথা আমি বলি না। ব্যাক রয়েছে তাই আমি বলছি। আবার বলছি, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, রাখছে, রাখছে (তৃণমূল বিধায়করা)”। তিনি যখন এই দাবী করছিলেন, সেই সময় তাঁর পাশেই ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এদিন বিজেপির কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বলি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানেই তিনি বলেন, “অপেক্ষা করুন। সবই দেখতে পাবেন। আমি ভিত্তিহীন কথা বলি না। এক্ষেত্রেও বলছি না”।
বলে রাখি, গত ২৭শে জুলাই কলকাতায় এসেছিলেন মিঠুন। সেদিনও সাংবাদিকদের সামনে তিনি দাবী করেছিলেন, “৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক আমাদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রাখছে। ২১ জন তো সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে”। আর আজও সেই দাবীতেই অনড় থাকলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
শুধু তাই-ই নয়, একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাড়ি থেকে নগদ টাকা, সোনা উদ্ধার নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেন মিঠুন চক্রবর্তী। বলেন, “জন্মে এত টাকা দেখিনি। রোজগারও করিনি”।
মিঠুনের এই দাবীকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “উনি তো একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোন বলতেন। তারপর সিবিআই-ইডির ভয়ে দল বদল করলেন। উনি এখনও বিজেপিতে আছেন? মন থেকে আছেন কিনা বলতে পারব না। বিজেপিকে সান্ত্বনা দিতে এসব বলছেন মিঠুন”।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু ৭৭-এ এসেই থেমে যায় বিজেপির গাড়ি। নির্বাচনের পর থেকেই ধস নেমেছে গেরুয়া শিবিরে। একাধিক বিধায়ক-সাংসদ বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছে তৃণমূলে। এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবী করেছিলেন যে তৃণমূল দরজা খোলা রাখলে বিজেপি উঠে যাবে। এবার সেই দাবীর পাল্টা দাবী করে মিঠুন বললেন যে ২১ জন তৃণমূল বিধায়কের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।