‘দলের প্রতি আস্থা, ভরসা না থাকলে দল ছেড়ে দিন’, কাদের উদ্দেশে এই কড়া দাওয়াই মিঠুনের? তবে কী পাচ্ছেন মহাগুরু?

তিনি কলকাতায় এসে বারবার দাবী করেছেন যে তৃণমূলের ৩৮ জন বিধায়ক নাকি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তিনি এও দাবী করেন যে ২১ জন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তো তাঁর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখেছেন। অন্যদিকে আবার, তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) দাবী করেছেন যে তৃণমূল দরজা খোলা রাখলে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে বাংলা থেকে। এবার যেন তাঁর সেই মন্তব্যে একপ্রকার সিলমোহর দিলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। দলের অন্দরে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তিনি।
গতকাল, মঙ্গলবার চুঁচুড়ার এক কর্মসূচিতে অংশ নেন মিঠুন চক্রবর্তী। সাংগঠনিক নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি বলেন, “দলে থেকে দলের লোকসান করবেন না। দলের প্রতি আস্থা, ভরসা না থাকলে দল ছেড়ে দিন। আমার কাছে সব তথ্য আছে। অনেকেই দু’নৌকায় পা দিয়ে চলছেন। এটা ঠিক নয়। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে”।
বিজেপি নেতার কথায়, “বুথে বুথে আগে ডিফেন্স তৈরি করুন। শুধুমাত্র স্লোগান নয়, উন্নয়নের মাধ্যমে বিজেপি বেড়েছে। মণ্ডল সভাপতি জেলা সভাপতিদের এড়িয়ে চেয়ার টোপকে দলের সভাপতির কাছে যাবেন না। দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতেই হবে। না মানলে দল ছেড়ে দিন”।
কিন্তু ঠিক কাদেরকে উদ্দেশ্য করে একথা বলতে চাইলেন মহাগুরু? অনেকের মতে, এমন মন্তব্য করে মিঠুন কিন্তু একদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যতেই সিলমোহর দিলেন। তিনি বলেছিলেন যে তৃণমূল দরজা খুললে অনেক বিজেপি নেতা-কর্মীই ঢুকে যাবে। এখন অনেকেই যোগাযোগ রাখছেন বলেও দাবী করেছিলেন অভিষেক। তিনি এও বলেছিলেন যে বিজেপির উপর তারা ভরসা রাখতে পারছেন না।
সূত্রের খবর, সেই কথা কানে গিয়েছে বলি তারকার। আর সেই কারণেই দলের অন্দরে একথা তুলে ধরেছেন তিনি। দলের উপর আস্থা, ভরসা এই কারণেই রাখতে বলেছেন মিঠুন। অনেকের মতে, অনেক তৃণমূল বিধায়করা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে – একথা স্রেফ হাওয়া গরম রাখার জন্যই বলেছেন মহাগুরু।
এদিন মিঠুন বলিউডে কীভাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন, সেই কথাও তুলে ধরেন। বলেন, “ বাঙালি হিসেবে বাংলা থেকে মুম্বই যাওয়ায় বহুবার তাঁকে নানাভাবে প্রতি পদে পদে হেনস্থা এবং বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু আমি লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে আসিনি”। এই কথা উল্লেখ করে দলের নেতা-কর্মীদের লড়াইয়ের ময়দানে টিকে থাকার বার্তা দেন মিঠুন চক্রবর্তী।