রায়বাবুর মতিভ্রম! ‘উপনির্বাচনে তৃণমূল হারবে’, দাবী মুকুলের, পরক্ষণেই ফের দাবী, ‘বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না’
তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজেই কৃষ্ণনগর গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে অবাক করা মন্তব্য করে বসলেন তিনি যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
খাতা-কলমের দিক থেকে দেখতে গেলে তিনি এখনও কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক। কিন্তু কিছুদিন আগেই ফের নিজের পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু আজ, শুক্রবার কৃষ্ণনগরে গিয়ে তাঁর মুখেই উঠে এল তৃণমূলের হারের কথা।
ঠিক কী বলেছেন মুকুল রায়?
এদিন মুকুল রায় নিজের দলীয় অবস্থান রীতিমত গুলিয়ে দিয়ে বলেন, “দেখা যাক উপনির্বাচন হোক। ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি তৃণমূল উপনির্বাচনে পর্যুদস্ত হবে। কৃষ্ণনগরে ভারতীয় জনতা পার্টি স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠা পাবে। তৃণমূল কংগ্রেস হেরে যাবে এখানে”। আবার পরক্ষণেই তিনি বলেন, “বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না। মা মাটি মানুষের কাছে তাদের সঙ্কট প্রতিষ্ঠিত হবে”।
মুকুল রায় কেন এমন ধরণের মন্তব্য করলেন, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই নানান প্রশ্ন উঠেছে। এটা কী তাঁর কোনও রাজনৈতিক কৌশল নাকি তাঁর শারীরিক সমস্যার প্রতিফলন, তাই তিনি এমন দু’রকম কথা বলছেন, এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।
উল্লেখ্য, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনি মামলা চলছে। এই কারণেই নিজের কেন্দ্রে নিজেকে বিজেপি নেতা প্রমাণ করার জন্য এমনটা তিনি বলে থাকতে পারেন বলে মত অনেকের। আবার গত কয়েক মাসে যারা মুকুল রায়ের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠভাবে মিশেছেন, তাদের মত, রায়বাবু নাকি এক মুহূর্তে একরকম কথা বলেন আবার পরমুহূর্তে অন্যরকম কথা বলেন।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “মুকুল রায় যা বলেন কিছুক্ষণের মধ্যেই তার উল্টো প্রতিক্রিয়া দেন। যেদিন উনি বিজেপি ছেড়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন, তার এক ঘণ্টা আগে উনি আমাদের এক দলীয় নেতাকে বলেছিলেন ‘আমার স্ত্রী অসুস্থ, আমার মানসিক অবস্থার ঠিক নেই। অথচ লোকজন বলছে, আমি নাকি তৃণমূলে যাচ্ছি’। তার পর তিনি চলে গেলেন। ওনাকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি। মানসিক চাপে আছেন। উনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলেন এবং অবস্থান বদলে ফেলেন”।
আরও পড়ুন- ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের উপর লাঠিচার্জ, সাসপেন্ড অশোকনগর থানাaর এএসআই
শমীক ভট্টাচার্যের দাবী, “কেউ বলতে পারেন ওনার শারীরিক অবস্থা ঠিক নেই, কেউ বলতে পারেন মানসিক চাপে আছেন। আমরা ওনার সুস্থ জীবন, দীর্ঘায়ু কামনা করি। উনি বিজেপিতে নেই এখন। উনি কৃষ্ণনগরের মানুষের জনাদেশের সঙ্গে বেইমানি করেছেন”।