‘ভোটের আগে রাজনৈতিক কারণে ফাঁসানো হচ্ছে’, দাবী নওশাদ সিদ্দিকির, ফের পুলিশি হেফাজত আইএসএফ বিধায়ককে

ফের একবার পুলিশি হেফাজতের (police custody) নির্দেশ দেওয়া হল ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Nawshad Siddiqi)। আজ, শুক্রবার বারুইপুর আদালতে তোলা হয় তাঁকে। এদিন তাঁকে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় রাখা হবে নওশাদকে। তাঁর দাবী, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) আগে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে এভাবে আটকে রাখা হচ্ছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি নওশাদ সিদ্দিকীকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়েছিল। তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই গতকাল, বৃহস্পতিবার নওশাদের ফের পুলিশ হেফাজতের আর্জি জানানো হয়। এহেন পরিস্থিতিতে আজ, শুক্রবার বারুইপুর আদালতে তোলা হয় নওশাদকে।
এদিন কোর্টে প্রবেশের সময় বিধায়ক দাবী করেন যে সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। আর সেই কারণেই পরিকল্পনা করে তাঁকে আটকে রাখা হচ্ছে। আদালতেও নওশাদ দাবী করেছেন, রাজনৈতিক কারণে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। এদিন শুনানি শেষে আইএসএফ বিধায়ককে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
বলে রাখি, গত ২১শে ফেব্রুয়ারি ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে বচসা ও ধ্বস্তাধস্তির পর গ্রেফতার হন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় আরও ১৮ জন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের। প্রথমে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছিল নওশাদকে। গত বুধবার তাঁকে ফের আদালতে পেশ করা হলে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় নওশাদকে।
সূত্রের খবর, হাতিশালায় মারামারি, দলীয় ভাঙচুর, তৃণমূল নেতা জুলফিকার মোল্লার উপর আক্রমণের ঘটনায় নওশাদকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে গতকাল, বৃহস্পতিবার বারুইপুর আদালতে দ্বারস্থ হয় কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। এদিনই প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের অনুমতি চাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। আজ, শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জেল থেকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় নওশাদকে।