রাজ্য

‘তৃণমূল নেতাদের ফুরফুরা শরিফে পাঠিয়ে কোনও লাভ নেই, যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে’, জানালেন নওশাদ সিদ্দিকি

ফুরফুরা শরিফে (Furfura Sharif) তৃণমূল নেতাদের এখন আর পাঠিয়েও কোনও লাভ হবে না, যা ক্ষতি হওয়ার ছিল, তা হয়ে গিয়েছে, এমনটাই মত আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির (Nawshad Siddiqi)। আজ, বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দেন তিনি। সেখানেই একথা বলেন আইএসএফ নেতা।

আসলে, গতকাল, বুধবার কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত গিয়েছিলেন ফুরফুরা শরিফে। ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন ফিরহাদ। সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তপন দাশগুপ্তকে। এরপরই গতকাল রাতে ফুরফুরা শরিফে গিয়ে পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করেন তারা।

এই সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে নওশাদ বলেন, “যে কেউ ফুরফুরা শরিফে আসতে পারেন। কিন্তু কেউ যদি রাজনৈতিক জমি ফেরাতে আসতে চান, তা হলে আমি বলব, এখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আর পরিস্থিতি আগের মতো নেই। শাসকদলের প্রকৃত চেহারা মানুষের কাছে ধরা পড়ে গেছে”।

তাঁর সংযোজন, “রাজ্যের পরিস্থিতি কী, তা সাধারণ মানুষ জানেন। তাই ভোট হলে মানুষ তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে বার বার সাগরদিঘির মতো ঘটনা ঘটাবেন”। এহেন মন্তব্য করে শাসক দলের জনভিত্তি নিয়েই যে নওশাদ প্রশ্ন তুললেন, তা বেশ স্পষ্ট।

বলে রাখি, গত ২১শে জানুয়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলায় আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। দীর্ঘ ৪২ দিন জেলবন্দি ছিলেন তিনি। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফলের দিন মুতি পান নওশাদ।

এই উপনির্বাচনে হার হয় তৃণমূলের আর জিতে যায় কংগ্রেস। তৃণমূলের এই হারকে ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করেছেন নওশাদ। শনিবার নওশাদের মুক্তির পর দিন রবিবার ফুরফুরা শরিফে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান স্থানীয় বিধায়ক তথা পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। কিন্তু সাক্ষাৎ না পেয়ে নিরাশ হয়েই ফিরতে হয় তাঁকে। সেই কারণেই তড়িঘড়ি ফিরহাদ এবং তপন ফুরফুরা শরিফে যান বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

debangon chakraborty

Related Articles

Back to top button