করোনার মাঝেই এলো আনন্দের খবর, চলতি মাসেই বেঙ্গল সাফারি পার্কে আসছে নতুন সদস্য
একদিকে যখন করোনার ভয়ে কাবু হয়ে পড়েছে সারা বিশ্ব তখন খবর এলো বেঙ্গল সাফারি পার্কে আবার সন্তান সম্ভবা হয়েছে শিলা। এই মাসেই নতুন সদস্যের আগমন হবে পার্কে। সেই খবরে খুশি বনদপ্তরের কর্মী থেকে পর্যটক সকলেই।
২০১৮ সালের ১১ই মে-তে শিলা এবং স্নেহাশিসের তিন সন্তান জন্মায়। এরপর তাদের ৫ জনের পরিবার বেশ আনন্দেই দিন কাটাতে থাকে। এমনকি ২রা সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই তিন বাঘ শাবকের নাম রাখেন কিকা, রিকা এবং ইকা। কিন্তু হঠাৎই ২৯শে অক্টোবর শারীরিক দুর্বলতার জেরে মারা যায় ইকা। তবে শিলার বাকি দুই শাবক কিকা ও রিকা বেড়ে ওঠে সাফারি পার্কে। এরপর ২০১৯ এর শুরুতেই স্নেহাশিসকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায়। সেখানে সে নতুন সংসার শুরু করে। অন্যদিকে শিলা তখন খানিকটা ভেঙে পড়ে। এদিকে প্রথম বাঘ প্রজননে সাফল্য পেয়ে দ্বিতীয়বারের প্রস্তুতি শুরু করে পার্ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু স্নেহাশিসের পর শিলার সঙ্গী কে হবে সে নিয়ে চিন্তায় পরে সকলেই।
সেসময় পার্কে ওপর এক পুরুষ বাঘ ছিল, যার নাম ছিল বিভান। স্নেহাশিসের সময় অবশ্য বিভানকে খুব একটা পছন্দ ছিল না শিলার। কিন্তু স্নেহাশিসের চলে যাওয়ার পর বিভানই হয়ে ওঠে তার সঙ্গী। তবে তাদের মধ্যে সুস্থ সম্পর্ক গড়ে উঠতে তিন মাস সময় লেগে যায়।
প্রথমে তাদের পাশাপাশি দু’টি এনক্লোজারে এক মাস রাখা হয়। এরপর নাইট শেল্টারে একসঙ্গে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াতেই নির্জনতার ভীষণই প্রয়োজন ছিল। তাই তাদের দু’জনকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখা হয়।
এর মধ্যেই হানা দেয় করোনা। বন্ধ হয় পর্যটকদের আনা গোনা। এর ফলে আরো কিছুটা সময় পেয়ে যায় তারা দু’জন একসাথে নিরিবিলি সময় কাটানোর। এরপর খবর আসে এই মাসেই নতুন অতিথি আসতে চলেছে পার্কে।
সাফারি পার্কের ডিরেক্টর ধর্মদেও রাই জানিয়েছেন, ”ইতিমধ্যে শিলা তিন মাসের প্রসূতি। আপাতত তাকে নাইট শেল্টারে আলাদা করে রাখা হয়েছে। শিলার খাওয়ার বিষয়েও বিশেষ যত্ন নেওয়া হচ্ছে। এমনকি চব্বিশ ঘন্টা সিসি ক্যামেরার নজিরবন্দীও রাখা হচ্ছে তাকে।”
বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আনন্দের সঙ্গে জানিয়েছেন, “করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই সবার জন্য এটি খুবই ভালো খবর। তবে করোনার চলতে আমাদের আরও বেশি সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে।”