নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে বাঙালির ভাবাবেগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলায় বার্তা মোদীর, যাচ্ছেন নেতাজির বাসভবনেও
সুভাষচন্দ্র বসু আসলে কার? এই নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলেছে বঙ্গ রাজনীতিতে। বাংলায় ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেতাজি জয়ন্তীকে একেবারেই হাতছাড়া করে নারাজ রাজ্যের শাসকদল ও বিরোধী পক্ষ। দু’জনেই নিজের মতো করে নেতাজিকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে উদগ্রীব।
নেতাজির ১২৫তম জন্মজয়ন্তী পালন করতেই রাজ্যে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে অনুষ্ঠিত হবে নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান। রাজ্যে আসার পূর্বে গতকালই সমস্ত রাজ্যবাসীকে ফের আবেগে ভাসালেন মোদী। বাংলায় টুইট করে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
টুইটে তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গের ভাই ও বোনেরা, পরাক্রম দিবসের এই শুভ দিনটিতে আপনাদের মধ্যে আসতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। কলকাতায় এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমরা বীর-কেশরী সুভাষ চন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধার্ঘ জানাব”।
পশ্চিম বঙ্গের প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
পরাক্রম দিবসের, এই শুভ দিনটিতে আপনাদের মধ্যে আসতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।
কলকাতায় এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমরা বীর-কেশরী সুভাষ চন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাব#ParakramDivas https://t.co/FDZtTiQe3O
— Narendra Modi (@narendramodi) January 22, 2021
Related Posts
আজ, শনিবার আরসিটিসি হেলিপ্যাডে নামবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমেই দুপুর ৩.২৫ নাগাদ তিনি যাবেন এলগিন রোডে নেতাজির বাসভবনে। সেখানে ১৫ মিনিট থাকবেন তিনি। মোদীর কর্মসূচীতে প্রথমে ব্রাত্য রাখাঁ হয়েছিল নেতাজির বাসভবনকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নেতাজির বাসভবনকেও মোদীর সফরের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
নেতাজির বাসভবন থেকে ফোর্ট উইলিয়ামের দক্ষিণ দিকের গেট থেকে হসপিটাল রোড ধরে জিরাট ব্রিজ পেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী যাবেন ন্যাশানাল লাইব্রেরিতে। সেখান থেকে রবীন্দ্র সদন পার করে ভিক্টোরিয়ায় প্রবেশ করবেন। এদিন ভিক্টোরিয়ায় নেতাজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে দেখা যাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই অনুষ্ঠানে বিকেল ৫টায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এরপর ৬টার সময় বক্তৃতা রাখবেন মোদী। এরপর ফের আরসিটিসি থেকে ফিরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, পরাক্রম দিবস নিয়ে বরাবরই আপত্তি জানিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবী, ২৩শে জানুয়ারি দেশনায়ক দিবস হিসেবে পালন হবে। এও দাবী করেন যে বাংলায় যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতি তৈরি হবে। অন্যদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার দাবী, “স্বামী বিবেকানন্দ, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আদর্শ নিয়েই বিজেপি চলে। তৃণমূলই বরং বাংলার সংস্কৃতির পরিপন্থী”।