রাজীবের পর প্রবীর! “মধুচক্রের নায়ক, গদ্দার প্রবীর ঘোষালকে দলে ফেরানো যাবে না!” পড়ল পোস্টার
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। আর এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসতে চান। এইরকম নেতার সংখ্যা এখন ভরে গেছে বিজেপি শিবির। ফাঁকতালে গলে গেছেন মুকুল রায়। দরজায় টোকা দিচ্ছেন রাজীব, সোনালীরা। বিজেপি শিবিরে গুঞ্জন এবার ফেরার তালিকায় নাম লেখাতে চলেছেন প্রবীর ঘোষালও।
আর এবার এই কথা প্রকাশ্যে আসতেই রাজীবের ডোমজুড়ের মতো প্রবীরের নামেও বিরুদ্ধ পোস্টারে ছেয়ে গেল উত্তরপাড়া। যেখানে লেখা হয়েছে, “মধুচক্রের নায়ক, গদ্দার প্রবীর ঘোষালকে দলে ফেরানো যাবে না।” পোস্টারের তলায় লেখা সৌজন্যে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীবৃন্দ। যদিও কাকে দলে ফেরানো হবে, তা সম্পূর্ণ দলের সিদ্ধান্ত বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। এই ধরনের পোস্টার দেওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদলে জোয়ারে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ভিড়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল। চ্যাটার্ড ফ্লাইটে দিল্লি গিয়ে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনে গো-হারা হেরে যান। আর তারপরেই মোহভঙ্গ। মুকুলের মতো তারও গলায় অভিযোগের সুরে! কিছুদিন আগেই মাত্র এত হয়েছেন তাঁর। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব খোঁজ নিলেও খোঁজ নেয়নি শীর্ষ নেতৃত্ব। অথচ তৃণমূলের তরফে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকও তাঁকে ফোন করেছেন বলে জানান। আর এতেই আপ্লুত প্রবীর বাবু।
আরও পড়ুন- আগামী পাঁচ বছর তৃণমূলের সঙ্গেই থাকছে আইপ্যাক, তবে প্রশান্ত কিশোর কী থাকবেন? উঠছে প্রশ্ন
বিজেপি শিবিরে থেকেই তাঁর গলায় ঝরে পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুখ্যাতি। বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা, বিশ্বাসযোগ্যতা, ভাবমূর্তি এতটাই যে কোনও বিরোধী নেতাই তার ধারেকাছে নেই।”
আর এতেই বিজেপি-তৃণমূল একাংশের মনে হচ্ছে এবার হয়তো তৃণমূলে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছেন প্রবীর। আর তারপরই পড়ল এই ধরনের পোস্টার। যা প্রবীরের অস্বস্তি বাড়াবে বৈ কমবে না।