ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিতে বিজেপির থেকে বেশি টাকা খরচা করেছেন স্বয়ং প্রশান্ত কিশোর! জানালো জুকারবার্গের সংস্থা
এবার ফেসবুক থেকে উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য। তৃণমূলের পলিটিকাল স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) পলিটিক্যাল কনসালটেন্সি গ্রুপ ইন্ডিয়ান পলিটিকাল অ্যাকশন কমিটি তথা আইপ্যাক(I-Pac) বিগত ১৮ মাসে বিজেপির (BJP) থেকেও বেশি টাকা খরচা করেছে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন (Facebook advertisement) দিতে! ৩৫টি পাতার জন্য মোট পাঁচ কোটি টাকা খরচা করেছে এই সংস্থা, যার অধিকাংশই তৃণমূল (TMC) এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(CM Mamata Banerjee) ঘিরে।
এমনকি অঞ্চল ভিত্তিক সমীক্ষাতেও প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, বিহার ও রাজস্থানের মধ্যে শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে। ফেসবুক সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনী রিপোর্ট দিয়েছিল সেখানে এই তথ্যগুলো উঠে এসেছে। যেখানে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০২০ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত বিজেপি (সহযোগী অরগানাইজেশন সহ), কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি মিলে মোট ১৯ হাজার ফেসবুক বিজ্ঞাপন দিয়েছে মোট ১১ কোটি টাকা খরচ করে। যদিও এই ১১ কোটি টাকা রাজনৈতিক নেতাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজ বা জাতীয় দলগুলির রাজ্য শাখাগুলোর ফেসবুক পেজের বিজ্ঞাপনী খরচা অন্তর্ভুক্ত নয়।
যত সময় যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো ধীরে ধীরে ফেসবুকে জনগণকে আকর্ষণ করার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে। কারণ এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এ দেশের জনসংখ্যার অধিকাংশ মানুষ রয়েছে। তাই এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেসড সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক দলগুলোর ফলাও করে প্রচার করা শুরু করে দিয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে মানুষ ঘরবন্দি থাকায় অধিকাংশ সময়ই তারা কাটাচ্ছে ফেসবুকে। ফলে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়া এখন লাভজনক। এই সমীক্ষা অনুযায়ী, দলগতভাবে হোক বা এককভাবে মোট ৪.৩১ লক্ষ বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে ফেসবুকে যার জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ কোটি টাকা।
২৬৭৬ টি বিজ্ঞাপনের জন্য বিজেপি খরচ করেছে ৪.৬ কোটি টাকা, ৩৭০২ টি বিজ্ঞাপনের জন্য কংগ্রেস খরচ করেছে ১.৮৩ কোটি টাকা, ৮৩৬টি বিজ্ঞাপনের জন্য আম আদমি পার্টি খরচ করেছে ৬৮ লক্ষ টাকা। বিগত তিন মাসে উপরোক্ত পাঁচটি রাজ্য থেকে সবথেকে বেশি ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা এদের মধ্যে সবথেকে বেশি টাকা খরচা করেছে। অর্থাৎ তৃণমূলকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মোট বৈতরণী পার করাতে প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) যে মরিয়া হয়ে নেমেছেন তা ফাঁস হয়ে গেল ফেসবুকের রিপোর্টেই।