রাজ্য

“এরকম চললে তো সব আসনেই হারবো আমরা!” হতাশ প্রসূনের বেফাঁস মন্তব্যে বিপাকে তৃণমূল!

ধীরে ধীরে যত দিন যাচ্ছে দলের সব প্রভাবশালী মুখরা দলের বিরুদ্ধে এক এক করে বেফাঁস মন্তব্য করে তুমুল বিপাকে ফেলছে ঘাসফুল শিবিরকে। এই তালিকায় নতুন সংযোজন হলেন মন্ত্রী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে আবার সেই দলের কোন্দল ফুটে উঠল।

গতকাল একটি সংবাদমাধ্যমকে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দেন প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি আরেক প্রাক্তন খেলোয়াড় এবং হাওড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লার উদ্দেশ্যে বিষোদগার করে ফেলেন।তিনি বলেই বসেন যে, হাওড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে তো চোখেই দেখা যায় না! তিনি আরো অভিযোগ জানিয়েছেন যে পয়লা জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তাকে আমন্ত্রণই নাকি জানানো হয়নি।

আবার অন্যদিকে তার এই অভিযোগ সপাটে খারিজ করে দিয়েছেন হাওড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে কে এসেছে আর কে আসেনি তা তিনি বলতে পারবেন না।

তখন তাকে প্রশ্ন করা হয় যে তাহলে এরকম মন্তব্য প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় করলেন কেন? তবে কি দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে? তিনি অবশ্য জানান যে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে অনেক নেতা মন্ত্রীরা নিজেদের এলাকার অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাই সকলের আসা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। এখানে দলীয় কোন্দলের কোন প্রশ্নই নেই।

আবার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সেই একই কথা বলেন যেটা এখন অনেক তৃণমূল নেতাই বলছেন।তিনি আক্ষেপ করে বলেন যে, আমি যে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম তখনকার পরিস্থিতির সঙ্গে এখনকার পরিস্থিতি অনেক আলাদা।

লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলছেন যে তিনি যখনই দায়িত্ব পেয়েছেন তখনই রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বসে দুদিনের মধ্যে কমিটির তালিকা প্রস্তুত করেছেন তিনি। এমনকি সেটি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি জানান তিনি। তারপরে কী হয়েছে তিনি তা জানেন না।

তবে যেভাবে দুই প্রাক্তন খেলোয়াড়ের মধ্যে বিবাদ লেগেছে তাতে তৃণমূলের হাতে যে এখন হ্যারিকেন ধরে গিয়েছে একথা দিনের আলোর মত স্পষ্ট।

debangon chakraborty

Related Articles

Back to top button