৩০০ টাকা ছুঁইছুঁই মুরগির দাম, চড়চড়িয়ে বেড়েই চলছে দাম, সপ্তাহান্তে দুপুরের পাতে চিকেন মিলবে তো?

ক্রমেই বেড়ে চলেছে মুরগির দাম। এবার তা মধ্যবিত্তদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। গত সোমবারও যেখানে মুরগির দাম কেজি প্রতি ২০০-২২০ টাকা ছিল। এখন তা প্রায় ৩০০ টাকা ছুঁইছুঁই। এর জেরে সপ্তাহান্তে দুপুরে জমিয়ে মাংসের ঝোল আর ভাত খাওয়াটা যেন এখন বিলাসিতার থেকে কম কিছু নয়।
জোগান কম থাকার কারণেই এমন দাম বেড়েছে মুরগির, বিক্রেতারা তেমনটাই জানাচ্ছেন। তবে চৈত্র মাস পড়লে এই দাম কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। কিন্তু বৈশাখ মাসে ফের শুরু হবে বিয়ের মরশুম ফলে দাম বাড়ার সম্ভাবনা। বিক্রেতাদের কথায়, হোটেল-রেস্তোরাঁর সংখ্যা যে হারে বেড়েছে, তাতে বিয়ের মরশুম না থাকলেও মুরগির চাহিদা ভালোই থাকে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত একমাস ধরে চলছে বিয়ের মরশুম। এর সঙ্গে ছিল দোল-হোলি। এর ফলে মুরগির চাহিদা বেড়েছে। আর জোগান কম থাকার কারণে সেই প্রভাব পড়েছে দামের উপর। বেশ কয়েকমাস ধরে মুরগির দাম ১৮০-২০০ টাকার মধ্যে থাকলেও শেষ ১৫ দিন ধরে মুরগির দাম ঊর্ধ্বমুখী। আর তা নিয়ে মধ্যবিত্তদের চাপ বেড়েছে।
ব্যবসায়ীদের কথায়, ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে মুরগির উপর ভাইরাসের আক্রমণ হয়। এর জেরে ৩০-৪০ শতাংশ মুরগি মারা যায়। আর সেই প্রভাব পড়ে বাজারে। সেই কারণেই এই সময়টা দাম বাড়ে মুরগির। তাছাড়া বিয়ের মরশুম তো রয়েছে। মুরগির খাবারের দামও বেড়েছে। বিশেষ করে বেড়েছে ভুট্টার দাম। সবমিলিয়ে রাজ্যে বেশ মহার্ঘ্য মুরগি।
মুরগির দাম বাড়ার কারণে বেড়েছে ডিমের দামও। অনেক রেস্তোরাঁতেই চিকেনের নানান ডিসে চিকেনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রেস্তোরাঁ মালিকের কথায়, ডিসের দাম বাড়ালে ক্রেতা মুখ ঘোরাবে। কিন্তু যে হারে চিকেনের দাম বাড়ছে, তাতে চিকেনের সংখ্যা না কমালে আর লাভের মুখ দেখতে হবে না।
এই প্রসঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশেনের সাধারণ সম্পাদক মদন মোহন মাইতি বলেন, “২৫০ টাকা কেজিতে মুরগির মাংস খুচরো বাজারে বিক্রি হলে চাষি কিছুটা আয় দেখে। মুরগির খাবারের দাম যা বেড়েছে, তাতে দাম কমিয়ে বিক্রি করলে চাষিরা না খেতে পেয়ে মারা যাবেন। তবে খুচরো দোকানদার যা দাম চায়, তা একটু যাচাই করাও উচিত ক্রেতার”।