পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মাথায় হাত শাসক শিবিরের, মন্ত্রী অখিল গিরির গড় থেকে বিজেপিতে যোগ দাপুটে তৃণমূল নেতা-সহ ১০ পরিবারের

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। আর এর আগেই মাথায় হাত পড়ল শাসক শিবিরের। বড়সড় ভাঙন ঘটে গেল তৃণমূলে (TMC)। রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির (Akhiul Giri) বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা-সহ ১০ টি পরিবার যোগ দিলেন বিজেপিতে। এই ঘটনার জেরে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) রাজনীতি বেশ উত্তাল এখন।
সূত্রের খবর, গতকাল, মঙ্গলবার বিকেলে রামনগর ২ নম্বর ব্লকের দেপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের গান্ধী মোড় কালী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় কিষান মোর্চার সভা আয়োজন করে বিজেপি। সেই সভাতেই পদ্ম শিবিরে যোগ দেন রামনগরের তৃণমূল নেতা মনোজিৎ মান্না। তাঁর সঙ্গে এদিন গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন ১০টি পরিবার। এদিনের এই যোগদান পর্বে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী মৌমিতা দাস। বিজেপি মণ্ডল নেতৃত্ব ও জেলা নেতৃত্বের অনেকেও এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই যোগদানের বিষয়ে মৌমিত দাস বলেন, “খুবই খুশির খবর। অনেক ভাইদের রক্ত ঝরেছে। অনেক মায়ের সম্মানহানি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যাতে পদ্ম ফোটাতে পারি, তার জন্য সব রকমের চেষ্টা চালাচ্ছি। এই যোগদানে বাড়তি অক্সিজেন পেলাম। শাসকের রক্তচক্ষুকে আর কেউ ভয় পায় না”।
অন্যদিকে, এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়ে মনোজিৎ মান্না বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমি কলেজ রাজনীতি করতাম। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম। এই মামলা এখনও চলছে। তৃণমূল করা সত্ত্বেও স্থানীয় বিধায়কের অত্যাচার ও স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি”। এদিন তিনি আরও দাবী করেন যে আরও অনেক মানুষই বিজেপিতে যোগ দেবেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে নিজের জায়গা দেখানো শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে জানান তিনি।
এই যোগদান নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ে নি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দেপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা রামনগর ২ ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি অনুপ কুমার মাইতি এই বিষয়ে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস একটি চলমান গাড়ি। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেকেই চলমান গাড়ি থেকে নীচে নেমে গিয়ে ছিলেন। আবারও ফিরে এসেছেন”।