‘মমতা ব্যানার্জী গো-ব্যাক’! সভার আগেই নন্দীগ্রামে মমতার বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, পড়ল পোস্টার
আজ ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরীক্ষা। নন্দীগ্রামের মানুষ তাঁকে এখনও কতটা চাইছেন, কতটা তাঁর উপর ভরসা রেখেছে, এসবেরই কার্যত ফলাফল মেলার কথা ছিল আজ। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করবেন নন্দীগ্রামে। কিন্তু এর আগেই ঘটল বিপত্তি। সকাল থেকে নন্দীগ্রামের একাধিক জায়গায় মমতা বিরোধী পোস্টার নিয়ে তৈরি হল চাপানউতোর। জায়গায় জায়গায় পোস্টার, ‘মমতা ব্যানার্জী গো-ব্যাক’। এই বিষয়ে বিজেপির দাবী, এসবই মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
এদিন নন্দীগ্রামের তেখালিতে সভা করার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই সভাকে ঘিরে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর মেলার কথা আজ। রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটাতে নন্দীগ্রাম বিশেষত মূল অণুঘটক হিসেবে কাজ করে। নন্দীগ্রামী মাটি থেকেই শুরু হয় মমতা-শুভেন্দুর যুগলবন্দী, যার সামনে ৩৪ বছরের বাম শাসন কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল। আর এখন সেই যুগলবন্দীই একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয় নন্দীগ্রাম চত্বর। কিন্তু তবুও স্থানীয় আমদাবাদ গ্রামের বিদ্যুতের খুঁটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের সঙ্গে ‘গো-ব্যাক’ কথাটি চোখে পড়ে। বিরুলিয়া, গোলপুকুরের একাধিক জায়গায় এক একই পোস্টার দেখা যায়। পুলিশি নিরাপত্তা থাকার পরও কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
পূর্ব মেদিনীপুরের যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি এই বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়ে বলেছেন, “এসব করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকানো যাবে না। তাঁর রাজনৈতিক ইতিহাস বাচ্চা বাচ্চা ছেলেরা জানে না। তিনি আন্দোলন করেই এই জায়গায় পৌঁছেছেন। এসব পোস্টার ফেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সৈনিকদের আটকানো সম্ভব নয়”।
Related Posts
পাল্টা বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পালের দাবী, “কোথাও কোথাও শুনলাম এই ধরণের পোস্টার পড়েছে। এটাই তো স্বাভাবিক। মানুষ ক্ষিপ্ত। এসব মানুষেরই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। নন্দীগ্রামের মানুষ ওঁকে চাইছেন না, এটা তারই নীরব প্রতিবাদ”।