‘বিজেপিতে আমাকে সম্মান দেওয়ার কেউ নেই’, শিক্ষক দিবসের দিন আক্ষেপ প্রকাশ মাস্টারমশাইয়ের
একুশের নির্বাচনের আগে একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের জন্য খ্যাত নেতা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যও। যদিও বেশিরভাগ মানুষই তাঁকে মাস্টারমশাই নামেই চেনেন।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সিঙ্গুর থেকে ভোটেও দাঁড়ান তিনি। কিন্তু সিঙ্গুরের বিজেপি কর্মীরা তা মানতে পারেনি। এই কারণে মাস্টারমশাইয়ের হয়ে প্রচারও করেন নি কেউ। এর জেরে তাঁর চির প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী বেচারাম মান্নার কাছে হেরে যান মাস্টারমশাই।
তবে নির্বাচনের পর বিজেপির ভরাডুবির জেরে এখন অনেক দলত্যাগী নেতাদেরই মোহভঙ্গ হয়েছে। এরই সঙ্গে মোহভঙ্গ হয়েছে মাস্টারমশাইয়েরও। এই কারণে তিনি বিজেপিকে বিঁধে সরাসরিই বলেন, “বিজেপির কাজের সঙ্গে নিজেকে আর মানিয়ে নিতে পারছি না। বিজেপির সংগঠন ঘুণে ধরা। আমাকে কেউ বিশেষ সম্মান দেয় না এখানে”।
শিক্ষক দিবসের দিনই এমন আক্ষেপ শোনা গেল মাস্টারমশাইয়ের গলায়। তাঁর মন্তব্য থেকে বেশ স্পষ্ট যে তিনি আর বিজেপিতে থাকতে চাইছেন না। একদা তৃণমূলের বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী হওয়া রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য হ্যত ফের নিজের পুরনো দলেই ফিরতে চাইছেন বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
এদিন মাস্টারমশাই আরও বলেন, “১০ই এপ্রিল সিঙ্গুরে ভোট ছিল। আর তাঁর ঠিক দুদিন আগেই বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি সহ সাতজন বিজেপি নেতা তৃণমূলের প্রার্থী বেচারাম মান্নার সঙ্গে গোপনে বৈঠক সারেন”। তাঁর দলের নেতা-কর্মীরাই তাঁকে হারিয়েছে, অন্তত মাস্টারমশাইয়ের এমন মন্তব্য থেকে বেশ স্পষ্ট।
রবীন্দ্রনাথবাবুর কথায়, “বিজেপিতে কাজ করার কোনও সুযোগ নেই। জেলা নেতৃত্বের মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই। আমাকে একবার চুঁচুড়ার একটি বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। আমি গিয়েছিলাম। এরপর আমাকে আর কেউ ডাকেনি। বিজেপিতে আমাকে সম্মান জানানোর মতো কেউ নেই”।
আরও পড়ুন- ফের লড়াই মমতার! ভবানীপুর উপনির্বাচন ও দুই কেন্দ্রে সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল
তবে কী মাস্টারমশাই ফের নিজের পুরনো দলে ফিরবেন? এর জবাবে তিনি বলেন, “আর ইচ্ছে নেই”। তাঁর এই কথায় বোঝা যাচ্ছে ৯০ বছর বয়সে এবার হয়ত রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চাইছেন মাস্টারমশাই। তবে তিনি আদৌ তৃণমূলে ফেরেন কী না, তা ভবিষ্যতে দেখা যাবে।