‘আমি হয়ত রাজনীতির লোক নই, দল আমাকে তাড়াতে পারে, সাসপেন্ড করতে পারে’, তবে কী বিজেপি ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন রূপা?

সম্প্রতিই বিজেপির ভার্চুয়াল বৈঠক ছেড়ে মাঝপথে উঠে চলে গিয়েছিলেন তিনি। স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন তাঁকে যাতে এমন ‘ভাটের’ বৈঠকে না ডাকা হয়। তবে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে তিনি বেশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন কথা হচ্ছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়েই।
তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে বেশ জল্পনা তৈরি হয়েছে। তিনি লিখেছেন, “আমার তো আর হোর্ডিং লাগাবার ক্ষমতা নেই। থাকলে তোদের দু’জনের ছবি টাঙিয়ে বলতাম—আমি তিস্তার সঙ্গে আছি, থাকব”। আসলে, তিস্তার স্বামী গৌরবকে পুরভোটের টিকিট না দেওয়ায় বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন রূপা। এও পোস্টের মাধ্যমে তিনি দলের গাইডলাইন উপেক্ষা করেছেন। তিনি হয়ত বিজেপি ছাড়তে পারেন, এমনই গুঞ্জন এখন রাজ্য রাজনীতিতে।
প্রথম থেকেই গৌরবের পাশে দাঁড়িয়েছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এই নিয়ে বিজেপির তরফে তাঁকে সতর্কও করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি গৌরবের পাশ থেকে সরে না এসে উল্টে বিজেপিরই বিরোধিতা করেন। সুকান্ত মজুমদার-দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে হওয়া ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে মাঝপথে উঠে চলে যান তিনি। বিজেপি রূপার এমন ব্যবহার ভালোভাবে নেয়নি। এরই মধ্যে রূপা পোস্টে জানান যে তিনি দলের এক নগণ্য কার্যকর্তা।
কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের তারকা প্রচারকদের তালিকায় রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম নেই। ফেসবুক পোস্ট করে তিনি লেখেন, “অনেক স্মৃতি ভিড় করে আসছে। ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনের কথা এসে ভিড় করছে। আমাকে অনেক শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল তখন। আজ আমি স্বীকার করি, আমি হয়ত রাজনীতির লোক নই। দল আমাকে তাড়াতে পারে, শো–কজ করতে পারে, সাসপেন্ড করতে পারে, কিন্তু দল থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করতে পারে না”।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের এমন পোস্ট রাজ্য রাজনীতির অন্দরে বেশ গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে। কী এমন ঘটল যে তিনি এমন পোস্ট করলেন? তবে কী তিনি দলের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে চাইছেন? দল কী ছাড়বেন তিনি? এমন নানান প্রশ্ন উঠছে নানান মহলে।
আর এসবের মধ্যেই গৌরবের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে রূপা একটি চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে তিনি লেখেন, “গৌরব, আমার তো আর হোর্ডিং লাগানোর মতো ক্ষমতা নেই। থাকলে তোদের দু’জনের ছবি টাঙিয়ে বলতাম—আমি তিস্তার সঙ্গে আছি, থাকব”। রূপার এই চিঠিও যথেষ্ট জল্পনা তৈরি করেছে।