নারদ-নারদ, বিজেপি না কুস্তির আখড়া? দিলীপ-কুনালের ছবি নিজের হোয়্যাটসঅ্যাপ ডিপিতে লাগালেন সৌমিত্র খাঁ!

রাজ্য রাজনীতিতে বিরোধী পক্ষ সব সময় অন্য গুরুত্ব ধারণ করে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রের কেবলমাত্র সরকারপক্ষ সঠিক এবং বিরোধীরা পাত্তা পান না সেটা হয় না। বর্তমানে রাজ্যে বিরোধীরা আসনে রয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্ব পায় সকলের থেকে। বিজেপি নেতারা কিন্তু বেশ জনপ্রিয়।
বিজেপির বর্তমান দুই বর্ণময় চরিত্র হলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। গতকাল সৌমিত্র খাঁ যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেও পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করে নেন। দলের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তিনি যে বেশ ক্ষুব্ধ তা তার ফেসবুক লাইভ থেকেই বোঝা যাচ্ছিল।
গতকাল সাড়ে ৯ মিনিটের ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, “এক নেতা এসেছেন, যিনি বলছেন তাঁর নেতৃত্বে সব কিছু হয়েছে। এই যিনি বিধানসভার দলনেতা হয়েছেন তিনি নিজেকে জাহির করছেন, দলকে নয়। যেভাবে চলছে তাতে যুবমোর্চার সভাপতি হিসেবে লড়াই করা মুশকিল হয়ে উঠছে। তিনি দিল্লি যাচ্ছেন বারবার। নেতাদের ভুল বুঝিয়ে প্রমাণ করতে চাইছেন তিনিই সবচেয়ে বড় নেতা। তিনি একসময় তৃণমূলে বড় নেতা দেখিয়েছেন।” স্বাভাবিকভাবেই তার কটাক্ষের তীর শুভেন্দু অধিকারীর দিকে একথা স্পষ্ট।
আর এবার আজকে বিকালে যা ঘটলো তা এককথায় অভূতপূর্ব। নিজের হোয়াটসঅ্যাপ ডিপি বদলে সেখানে তিনি রাখলেন দিলীপ ঘোষ এবং কুণাল ঘোষের সখ্য বিনিময়ের ছবি! যদিও তাকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতেই তার হোয়াটসঅ্যাপ ডিপি বদলে নিজের পুরনো ছবি চলে আসে এবং তিনি বলেন যে, তার অফিশিয়াল নম্বরে চক্রান্ত করে এটা করা হচ্ছে।
কিছুদিন আগে এক বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি এবং তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের দেখা হয় এবং তারা পরস্পরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এই নিয়ে দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়। হঠাৎ করে গতকাল বিদ্রোহের পর আজকে বিকালে এই ছবি কেন সৌমিত্র ডিপি করেছেন তাই নিয়ে শুরু হয় জোরদার আলাপ আলোচনা। কোথাও গিয়ে কি তিনি দিলীপ ঘোষকে কোনো বার্তা দিতে চাইলেন? এরকমটাই জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
গতকাল সৌমিত্র খাঁ রাজ্য বিজেপি সভাপতি উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে ওনাকে বললে উনি অর্ধেকটা বোঝেন আর অর্ধেকটা বোঝেন না। বাংলার বিজেপি এইভাবে চলবে না।
দিলীপ ঘোষ পাল্টা জবাব দেন, ‘হয়তো মন্ত্রীর লাইনে ছিলেন, পাননি। হতাশা থেকে বলেছেন। কষ্ট পাওয়া স্বাভাবিক। পার্টিটা ক্ষমতা পাওয়ার লঞ্চিং প্যাড নয়।’
আসল যে কী ঘটছে তা একমাত্র ভগবানই জানেন।