শীঘ্রই রাজ্যে চালু হবে রাষ্ট্রপতি শাসন, কেন্দ্র ব্যবস্থা নিচ্ছে, বিস্ফোরক এই বিজেপি নেতা
একদিকে যখন ‘বঙ্গভঙ্গ’ নিয়ে উত্তরবঙ্গের বিজেপি সাংসদ জন বারলা সুর চড়াচ্ছেন, ঠিক সেই সময়ই অন্যদিকে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন কার্যকর হওয়ার জল্পনায় ঘি ঢাললেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
এদিন জলপাইগুড়িতে প্রয়াত বিজেপি নেতা রবীন্দ্র নারায়ণ চৌধুরীর স্মরণ সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সায়ন্তন বসু। তাঁর কথায়, “রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার পরিবেশ তৈরি হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যে কোনওদিন রাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে”।
আরও পড়ুন- রাজ্যে পুলিশের OBC বিভাগে নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক, নিযুক্ত ৩৭ জনের মধ্যে ৩৫ জনই মুসলিম সম্প্রদায়ের!
এদিন জলপাইগুড়িতে এসে ফের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন সায়ন্তন। বলেন, “রাজ্যে যেভাবে অত্যাচার হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে বসে থাকতে পারে না। আজ না হোক কাল, রাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবেই। এটা আমরা বলতে পারি”।
তবে কী বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকেই ইঙ্গিত করছেন সায়ন্তন? তাঁর স্পষ্ট জবাব, “হতে পারে। কেন্দ্র কী করবে কেন্দ্রর ব্যাপার। রাষ্ট্রপতি শাসনও হতে পারে। কিছু না কিছু তো হবেই। সে রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে একটা কঠোরতম ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকারকে নিতে হবে”।
এদিকে, শনিবার ফের উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যে বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার দাবী তোলেন বিজেপি সাংসদ জন বারলা। তবে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত অন্যান্য বিজেপি সাংসদরা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। এই বিষয়ে সায়ন্তনের জবাব, “এটা নিয়ে আমরা দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জিন্নার মুখ থেকে বাংলাকে নিয়ে এসেছেন। পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রে কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই”।
আরও পড়ুন- উত্তরবঙ্গের পর এবার রাঢ়বঙ্গ! পৃথক রাজ্যের দাবী তুলে বিতর্কের মুখে সৌমিত্র খাঁ
তবে জন বারলার বঙ্গভঙ্গের দাবী যে দলের মতামত নয়, এ যে তাঁর একান্তই ব্যক্তিগত মত, এমনটাও জানান সায়ন্তন। উল্লেখ্য, এদিকে আজ আবার রাঢ়বঙ্গকে পৃথক রাজ্যে পরিণত করার দাবী তুলেছেন বিজেপির অন্য এক সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর তোলা বহিরাগত দাবির রেশ টেনেই পৃথক রাজ্যের দাবি উঠবে। কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির ৫০ কিলোমিটারের পরিধির মধ্যে ২৩ জন মন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ বা অন্য জায়গার মন্ত্রী নেই। রাঢ়বঙ্গ থেকে মাত্র ১ জন মন্ত্রী। বাকি সবাই হাফপ্যান্ট মন্ত্রী। আমাদের এলাকার সাধারণ মানুষ বঞ্চিত। রাঢ়বঙ্গের যুবকদের কর্মসংস্থান নেই। আমাদের এলাকার সম্পত্তি রাজ্য সরকারের কোষাগারে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের এলাকার মানুষ কিছু পাচ্ছে না। আগামী দিনে রাঢ়বঙ্গে এই দাবি উঠতে পারে”।