পরকীয়ার পথে ‘কাঁটা’ মেয়ে! বাধা সরাতে চরম পদক্ষেপ মায়ের, স্কুলছাত্রীকে খুন মহিলার প্রেমিকের

মায়ের পরকীয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় মেয়ে। সেই কারণে মায়ের প্রেমিকের হাতেই খুন দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। মৃত ছাত্রীর পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মায়ের প্রেমিক আপাতত পলাতক। নাবালিকার মা-কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদহ থানার দুবড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খামারপাড়া এলাকায়।
মৃত ওই স্কুলছাত্রীর নাম লিপিক মণ্ডল। নদিয়ার চাকদহ ব্লকের দুবড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা সে। বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী লিপিকা। কিছু বছর আগে আত্মহত্যা করেন লিপিকার বাবা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, এরপর থেকেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন লিপিকার মা সুন্দরী।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত বিশ্বাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় সুন্দরীর। সে কথা জানার পর থেকেই বেশ বিরক্ত থাকত লিপিকা। মায়ের এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিল না সে। মায়ের এই সম্পর্কের বিরোধিতা করেছে সে বারবার। কিন্তু মেয়ের আপত্তি কানে তোলেন নি সুন্দরী। পরকীয়ার পথে ক্রমেই কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল মেয়ে। সেই কারণে প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজের মেয়েকেই খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় লিপিকার মা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল, বুধবার বেলা বারোটা নাগাদ লিপিকার মায়ের প্রেমিক সুজিত বাড়ির কাছে আসে। সেই সময় তার মায়ের সঙ্গে চাষবাসের কাজ করছিল লিপিকা। অভিযোগ, সে সময় সুজিত ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিপিকার ডান হাত কেটে দেয়। এরপরে আরও একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিপিকাকে আঘাত করে সে।
এরপরই রক্তাক্ত অবস্থায় মাঠেই পড়ে যায় লিপিকা। পরিস্থিতি বেগতিক হতে পারে সেই আশঙ্কায় ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় সুজিত। এলাকাবাসী লিপিকাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলেই জানান।
লিপিকার জেঠিমার কথায়, “দীর্ঘদিন থেকে লিপিকার মা সুন্দরী সুজিত মণ্ডলের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। লিপিকা মাকে বারণ করত। কিন্তু সুন্দরী তা মানেনি। মায়ের সাথে মাঠে গিয়েছিল মেয়েটা। সেই সময় লিপিকার উপর দা হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সুজিত। মাথায় ও হাতে কোপ মারে। দায়ের কোপে লিপিকার কবজি কেটে যায়। সুজিত পালিয়ে যায়”। চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি লিপিকাকে। পলাতক সুজিতের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।