রাজ্য

বসন্ত উৎসবে নোংরামি! ম’দ খেয়ে স্কুলে এসে ছাত্রীদের হাত ধরে টানাটানি প্রধান শিক্ষকের, রঙ মাখানোর নামে অভব্য আচরণ

বসন্ত উৎসবে ছাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের। অভিযোগ, ম’দ্যপান করে স্কুলে আসেন ওই প্রধান শিক্ষক। দুই ছাত্রির সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ। এরপরই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবকরা। গতকাল, শুক্রবারই গ্রেফতার করা হয় তাকে। আজ, শনিবার অভিযুক্ত শিক্ষককে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হবে।

ঘটনাটি ঘটেছে চণ্ডীতলার একটি স্কুলে। ওই স্কুলের এক ছাত্রীর কথায়, “হেড স্যর বাজে কাজ করেছেন আমাদের সঙ্গে। এমনকী মদ খেয়ে এসেছিলেন। এরপরই আমরা বাড়িতে সবটা বলি”।

জানা গিয়েছে, গত ১০ই মার্চ বসন্ত উৎসব ছিল ওই স্কুলে। অভিভাবক ও ছাত্রীদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক ম’দ খেয়ে এসেছিলেন সেদিন। এরপরই রঙ মাখাতে গিয়ে ছাত্রীদের হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন ওই শিক্ষক। বসন্ত উৎসবের নামে নোংরামি হয়েছে বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। যদিও ওই প্রধান শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল, শুক্রবার উত্তাল হয় স্কুল চত্বর। স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়া ও অভিভাবকরা। অবরোধ করা হয় ডানকুনি আরামবাগ অহল্যাবাই রোডের কৃষ্ণরামপুরের রাস্তা। এই রাস্তা অবরোধের জেরে সৃষ্টি হয় যানজটের।

এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চণ্ডীতলা ২ ব্লকের যুগ্ম বিডিও। তাদের দেখে ক্ষোভ উগড়ে দেন অভিভাবকরা। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। পুলিশ এসে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যখন অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, সেই সময় স্কুলেই ছিলেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। চণ্ডীতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবকরা। এরপর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় ওই প্রধান শিক্ষককে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবার রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, “বর্তমান সরকারের আমলে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাটাই এভাবে ক্ষয়িষ্ণু। রাজ্য সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান রাখতে পারছে না”।

অন্যদিকে, পাল্টা চণ্ডীতলা-২ ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিকাশ ঘোষ বলেন, “বিরোধীদের কাজ সমালোচনা করা। তবে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি”।

Related Articles

Back to top button