বিজেপির মধ্যে কোন্দল অব্যাহত, এরই মধ্যে জল্পনা বাড়িয়ে মমতাকে চিঠি দিলেন শান্তনু, তবে কী বিজেপি ছাড়ছেন সাংসদ?
কিছুদিন আগেই বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন শান্তনু ঠাকুর। দলের জেলা কমিটিতে কোনও মতুয়া প্রতিনিধি না থাকায় প্রতিবাদ জানান তিনি। অন্যান্য বিদ্রোহী বিজেপি নেতাদের নেতৃত্বও দেন শান্তনু ঠাকুর। এবার এই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু গুঞ্জন।
তবে জানা গিয়েছে, বনগাঁ-বাগদা প্রস্তাবিত রেললাইন প্রসঙ্গে এই চিঠি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। দ্রুতই জমি অধিগ্রহণ করার দাবী জানিয়ে গণস্বাক্ষর করা চিঠি দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রীকে।
উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা ব্লকের মানুষের একমাত্র চলাচলের উপায় সড়কপথ। দীর্ঘদিন ধরেই রেলপথের দাবী জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। ২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী হওয়ার পর বনগাঁ থেকে বাগদা রেললাইনের শিলান্যাস করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী জানান যে রাজ্য জমির ব্যবস্থা না করলে, কাজ শুরু করা সম্ভব নয়।
এই কারণে দ্রুত জমি অধিগ্রহণের দাবী জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ হাজার গণস্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি দিলেন শান্তনু ঠাকুর। তিনি জানান, “সংসদীয় এলাকার চাহিদা অনুসারে আমি ২ মাস আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জমি অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে চিঠি দিয়েছিলাম। তার কোনও উত্তর আসেনি । আবার গণস্বাক্ষর করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিচ্ছি । তিনি জমি অধিগ্রহনের ব্যবস্থা করলে বাগদা থেকে বয়রা পর্যন্ত রেল লাইন করা হবে বলে রেল মন্ত্রী আমাকে জানিয়েছে”।
এদিকে এই বিষয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতাবালা ঠাকুর বলেন, “কেন্দ্র উৎসাহ দেখায়নি বলে প্রকল্প হয়নি। জমিটা ফ্যাক্টর নয়। এনিয়ে আমরা দীর্ঘ আন্দোলন করেছি। সাংসদের আগেই বলা উচিত ছিল। এতদিনে বলছেন কেন”?
এই বিষয় নিয়ে শান্তনু ঠাকুরের সংসদীয় এলাকার এক বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার দাবিন করেন যে তিনি এ নিয়ে রেলকে আগেই সুপারিশ জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে বনগাঁ-বাগদা রেল প্রকল্প নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে।