মুক্তির সন্ধানে তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র, তবে কি পদ্মশিবিরে ফুটতে চলেছে ঘাসফুল?
শাসকদলের নাগপাশ থেকে মুক্তি পেতে পড়েছে হই হই রব। কেউ সরবে দল ছাড়ছেন আবার কেউবা নীরবে। সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান করা নিয়ে গড়ে উঠেছে তীব্র জল্পনা। এবার সেই তালিকায় নাম যুক্ত হলো তৃণমূলের আর এক দন্ডমুন্ড নেতার।
ব্যারাকপুর এর বিধায়ক শীলভদ্র তার নিজের ফেসবুক পোস্টে সম্প্রতি এমন কিছু লিখেছেন যাতে ঘনিয়ে উঠেছে ধোঁয়াশা।
ফেসবুকে লিখেছেন, মুক্তির সন্ধানে তিনি। এবার বিরোধীদের বক্তব্য, এই মুক্তি বলতে শীলভদ্র তৃণমূল থেকে মুক্তির কথাই বলছেন। তাই কানাঘুষো যে একেবারেই অমূলক নয় তা তৃণমূলের অন্দরমহলে একটু কান পাতলেই বোঝা যাচ্ছে।
সম্প্রতি তৃণমূলের গোটা সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। তার ফলে দলে হয়েছে বিস্তর রদবদল। ব্লক স্তরে জেলায় এই পরিবর্তন নিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ এর সঙ্গে তুমুল কথা কাটাকাটি হয় শীলভদ্রের। তারপরেই এই ফেসবুক পোস্ট বাড়িয়ে দিয়েছে বিতর্ক।
যদিও এ ব্যাপারে শীলভদ্র দত্তের বক্তব্য, তিনি এই পোষ্টের মাধ্যমে আসলে করোনা থেকে বিশ্বসংসারের মুক্তির কথা বলেছেন।
যদিও কয়েকদিন আগেই তিনি উঠে এসেছিলেন খবরের শিরোনামে। বিজেপির অন্যতম হাইকমান্ডের মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি এই শীলভদ্র। তাই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে, মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দেবেন তিনি।
যদিও সেই সময় শীলভদ্র স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ‘বিজেপিতে যাচ্ছেন না তিনি, তৃণমূলেই থাকছেন।’ তবে এইবার কী হবে সেটাই এখন দেখার।