রাজ্য

ডাল দে? গোলি ডাল দে? কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে বিজেপি কর্মীকে অকথ্য মার ‘গণতন্ত্রপ্রেমী’ সোহম চক্রবর্তীর দেহরক্ষী’র

গতকাল চন্ডীপুরে নির্বাচন হওয়ার সময় সোহম চক্রবর্তীকে ঘিরে ধরে জয় শ্রীরাম স্লোগান ওঠে। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই বিষয়ে প্রথমে অভিযোগ‌ও জানান তৃণমূলের তারকা প্রার্থী।

কিন্তু তারপরেই শুরু হয় অভিনেতার বাস্তব জীবনের দাদাগিরি। বিজেপি কর্মীকে চড়, ঘুষি, কিল, গালিগালাজ গুলি মেরে খুন করে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিল অভিনেতার দেহরক্ষীরা! এবং সবটাই বেশ তারিয়ে উপভোগ করলেন সোহম চক্রবর্তী।

বাংলা থেকে গণতন্ত্র চলে গেছে বলে যখন অভিযোগ করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন তাঁরই দলের প্রার্থী গণতন্ত্রপ্রেমী সোহম চক্রবর্তী এই ঘটনাকে সামনে থেকে বিনা বাক্য ব্যায়ে চাক্ষুষ করলেন। আর এই ছবি ধরা পড়েছে TV9 বাংলার ক্যামেরায়।

আরও পড়ুন – নন্দীগ্রামে ভোটের পরেই হবে হিংসাত্মক লড়াই, তড়িঘড়ি জেলাশাসককে চিঠি পাঠালেন এই নেতা!

প্রসঙ্গত গতকাল দ্বিতীয় দফার ভোট চলাকালীন চণ্ডীপুরে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হয় সোহমকে। তৃণমূল প্রার্থীকে ঘিরে ওঠে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানও। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপর ‘বুথ পরিদর্শনে’ বেরিয়ে স্থানীয়দেরও প্রশ্নের সম্মুখীন হন তিনি। ‘কেন বার বার আসছেন’,  ফেরার পথে আরও একবার সোহমকে ঘিরে বিজেপি কর্মীর বিক্ষোভ প্রদর্শনেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। তারকা প্রার্থীকে এই প্রশ্ন করতেই চটে যান সোহমের এক দেহরক্ষী।

আরও পড়ুন – সুখবর, আজ থেকেই এতটা কমছে ভর্তুকিযুক্ত রান্নার গ্যাসের দাম!

এরপর‌ই ‘সকাল থেকে বহু বার দেখছি…’, বলতে বলতেই গেরুয়া শিবিরের এক কর্মীকে চড়, ঘুষি, কিল মারতে শুরু করেন সোহমের সঙ্গী। এখানেই শেষ নয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করতে এগিয়ে আসলে বাধ সাধেন সোহমের দেহরক্ষীরা।

জেনে নিন তাদের মধ্যে কি কথা হয়-

কেন্দ্রীয় বাহিনী জিজ্ঞাসা করলে সোহমের দেহরক্ষী বলে হাম পুলিশ স্টাফ হ্যায়। স্যার কো হাম লে কর যা রহে থে…।

কেন্দ্রীয় বাহিনী বলে কেয়া করে গা, বোলিয়ে।

এরপর‌ই সীমা পার করেন সোহমের দেহরক্ষী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে গলা উঁচিয়ে বলে ডাল দে? গোলি ডাল দে আপকে সামনে?

তারপর মাত্রা বাড়ে অত্যাচারের। বিজেপি কর্মীর চোখমুখ বরাবর চড় মারতে শুরু করেন সোহমের দেহরক্ষী। কেন্দ্রীয় বাহিনী বাধা দিতে এলে উদ্ধত কণ্ঠা ওই রক্ষী প্রত্যুত্তরে বলেন, “আপ স্যার কুছ মত বোলিয়ে। আপ পুলিশ স্টাফ হ্যায়, হাম ভি। আপনা কাম কিজিয়ে।”

চণ্ডীপুরের এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে, চোখের সামনেই বিরোধীর উপর আক্রমণ, তাও কেন‌ও হাত পকেটে ঢুকিয়ে দাঁড়িয়ে রইল কেন্দ্রীয় বাহিনী? আর এই ঘটনা সামনে থেকে দেখার পর কোন‌ওরকম থামানোর চেষ্টা না করে ‌‌সমালোচোনার মুখে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সোহমও।

তথ্য এবং ছবি ঋণ স্বীকার: TV9 বাংলা

Related Articles

Back to top button