West Bengal

খড়দহ কেন্দ্র থেকে ৯৩ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অনেক কষ্টে দ্বিতীয় স্থান বিজেপির

বিজ্ঞাপন

বেশ উত্তেজনার মধ্যেই গত ৩০শে অক্টোবর ভোট হয় খড়দহ কেন্দ্রে। এদিন অভিযোগ উঠেছিল যে প্রয়াত তৃণমূল নেতা কাজল সিনহার ছেলে আক্রান্ত হন বিজেপি প্রার্থীর রক্ষীদের কাছে। সেই লড়াইয়ের ফল ঘোষণার দিন ছিল এদিন।

বিজ্ঞাপন

খড়দহ কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়ছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূলে নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এই কেন্দ্র থেকে ৯৩ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতলেন তিনি। এদিকে সিপিএম প্রার্থীর থেকে মাত্র ৪ হাজার ভোট বেশি পেয়ে খড়দহে দ্বিতীয় স্থানে টিকে রইলেন বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা।

বিজ্ঞাপন

শোভনদেববাবু এই জয়ের প্রেক্ষিতে প্রয়াত বিধায়ক কাজল সিনহার স্ত্রী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক লোককেই প্রার্থী করেছেন খড়দহ বিধানসভায়। এখানে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জিতবেন। এবং ভালো ব্যবধানে জিতবেন। আমার স্বামীর অসম্পূর্ণ স্বপ্নগুলোকে উনিই পূর্ণ করবেন। খুব ভালো মানুষ। এরই মধ্যে সবার সাথে মিশে গিয়েছেন। সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। আশা রাখব প্রচুর ব্যবধানে জিতবেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়”।

বিজ্ঞাপন

এদিকে আবার এই কেন্দ্র থেকেই ভুয়ো ভোটার,বাংলাদেশী ভোটার পাকড়াও করার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এই বিষয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “আড়াই লক্ষ্য ভোটার এখানে। কোনও এক জায়গায় কি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ঠিকই এসেছে সেই লোক (অভিযুক্ত ভোটার)। কিন্তু সে বর্তমানে এখানকার ভোটার, এখানে মাছ বিক্রি করে। এখানকার মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দিয়েছিল। এটা আমাদেরই আসন। এখন পার্থক্য কত ব্যবধানে হয় সেটাই দেখার”।

বিজ্ঞাপন

তৃণমূল প্রার্থীর এই জয় নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “এটা প্রত্যাশিত ছিল। আমরা ভালো লড়াই করেছি, আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে জিতেছি। বিজেপি যত পিছিয়ে যাবে, গণতন্ত্রের জন্য ততই মঙ্গল। জনগণ তাদের সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ। আমাদের দল নির্দেশ দিয়েছে যাতে নির্বাচন-পরবর্তী হিংসা না হয়। এরম কিছুই হবে না”।

তৃণমূলের জন্য এই খড়দহ কেন্দ্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই আসন থেকে লড়েছিলেন পরপর তিনবার ভোটে জেতা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। একুশের নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি। কিন্তু উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর থেকে লড়বেন বলে, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভনদেব। খড়দহ কেন্দ্রে নিজেকে প্রমাণ করার লড়াইয়ে নেমেছিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এরই সঙ্গে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও মুখ রক্ষার লড়াই। কারণ, তাঁর জন্যই শোভনদেবকে নিজের জেতা আসন ছেড়ে লড়তে হয়েছে এই খড়দহ কেন্দ্রে। দলনেত্রীকে জেতাতে শোভনদেবের এই ‘ত্যাগ’ নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষও হজম করেছেন তিনি। এই কারণে শোভনদেব এই আসনে না জিততেন, তাহলে এর জন্য যে পরোক্ষভাবে তৃণমূল সুপ্রিমোকেই যে দোষী ঠাওরানো হত, তা বলাই বাহুল্য।

বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading