হতে পারে সংক্রমণ! এই আশঙ্কায় করোনা হাসপাতালগুলিতে বন্ধ হতে চলেছে মোবাইল ব্যবহার।

সংক্রমন ছড়াতে পারে মোবাইল ফোনের ব্যবহারের মাধ্যমেও। তাই ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’ মোবাইলকে আপাতত করোনা হাসপাতালগুলিতে ব্যবহার করা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে আলোচনা করা হয়ে গেছে। জেলাশাসক, সিএমওএইচ ও করোনা চিকিৎসার হাসপাতালগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সঙ্গেও এই ব্যাপারে কথা হয়ে গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমেও ছড়াতে সক্ষম কোভিড-১৯। তাই সেক্ষেত্রে মোবাইল ব্যবহারের ওপরেও নিয়ন্ত্রণ আনা উচিত। সেই কথা মাথায় রেখেই করোনা হাসপাতালগুলিতে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ হতে চলেছে। চিকিৎসক থেকে শুরু করে হাসপাতালের সমস্ত কর্মীই মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। পারবেন না রোগীর আত্মীয়রাও। হাসপাতালে ঢোকার আগেই কর্তৃপক্ষের কাছে মোবাইল জমা দিতে হবে ফোন। পরিবর্তে তাঁদের একটি কুপন দেওয়া হতে পারে। সেটি দেখিয়ে ফের বেরনোর সময়ে মোবাইল নেবেন রোগীর আত্মীয়রা।
প্রশ্ন হল, হাসপাতালের মধ্যে যোগাযোগ তাহলে কি উপায়ে হবে? সেক্ষেত্রে হাসপাতালের প্রত্যেক ওয়ার্ডে ইন্টারকমের ব্যবস্থা করা হতে পারে। কন্ট্রোল রুমের একটি নির্দিষ্ট নম্বর দিয়ে দেওয়া হতে পারে। অথবা হাসপাতালের এক দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক কিংবা ম্যানেজারের নম্বর রোগী ও তাঁর আত্মীয়দের কাছে থাকবে। এছাড়াও ল্যান্ডলাইন কানেকশন থাকবে। যাতে প্রয়োজনে কোনও রোগী ফোন করতে পারেন, কিংবা কোনও দরকারি ফোন ধরতে পারেন।
তবে এই ব্যাপারটি কার্যকর করার আগে প্রত্যেক হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের যোগাযোগের বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হবে। তারপরই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে বলে সূত্রের খবর। তবে রাজ্য সরকারের নেওয়া এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি সম্প্রতি এম আর বাঙুর এবং আরজিকর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা রোগীরা যেভাবে তাঁদের মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও করে হাসপাতাল গুলির আসল চেহারা জনসমক্ষে তুলে ধরেছেন তাতে কার্যত অস্বস্তিতে প্রশাসন। আর সেই কারণেই মোবাইল ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে তাঁরা। যদি করোনা সতর্কতার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাহলে এই সিদ্ধান্ত আগে নেওয়া হলো না কেনও প্রশ্ন বিরোধীদের।