‘চরিত্রহীন, বিধবা মহিলাকে লোক দেখানো সিঁদুর পরিয়ে ফুর্তি করছে’, স্বামী সৌমিত্র খাঁ-র চরিত্র নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য সুজাতার
স্বামীর চরিত্র নিয়ে এর আগে তাঁর মুখে বেশ ভ্রসার কথাই শোনা গিয়েছে। এমনকি, তিনি যখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন , তখনও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে যে তাঁর স্বামী অন্য কন মহিলার দিকে চোখ তুলেও নাকি তাকান না। কিন্তু হঠাৎ এমন কী ঘটল যে স্বামীকে একেবারে ‘লম্পট’, ‘চরিত্রহীন’ বলে দাগলেন সুজাতা মণ্ডল?
সম্প্রতি, ফেসবুকে একটি পোস্ট করে তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল লেখেন, “টেরাকোটা নগরীর দলবদলকারী চরিত্রহীন। সাংসদ নিজের এলাকার অসহায় মানুষদের পাশে না থেকে দিল্লির ঘরে বিধবা মহিলাকে লোক দেখানো সিঁদুর পরিয়ে ফুর্তি করছে আর দলের রাজ্য নেতাদের দোষারোপ করে যাচ্ছে”। সম্প্রতি উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে তোপ দেগেছিলেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ফলে তাঁকে উদ্দেশ্য করেই যে সুজাতা এই পোস্টটি করেছেন, তা বেশ স্পষ্ট।
এই বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমের তরফে সুজাতা মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, “আমি কারও নাম নিয়ে কিছু বলব না। বিভিন্ন মেয়ের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে কেউ যদি নোংরামি করে তাহলে তা একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই। আমার কাছে সব খবর থাকে। আমার চুপ করে থাকা মানে দুর্বলতা নয়। আসলে আমার হাজার কাজ থাকে। তাই এসব নিয়ে বেশি ভাবি না। সময় কথা বলবে। ক্রমশ প্রকাশ্য”। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সৌমিত্র খাঁ-র কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বলে রাখি, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। সেই সময় ক্যামেরার সামনে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। বলেছিলেন যে স্ত্রীকে তিনি ডিভোর্স দেবেন। কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটতে চান নি সুজাতা।
একবার এক সাক্ষাৎকারে সুজাতা বলেন, “জীবনে পথ চলতে গেলে অনেক কিছুই বলি অনেক কিছুই ভাবি। কিন্তু, সেটা যে সব সময় ধরে রাখতে পারি তা নয়। জীবনে কী হবে, তা আজকে থেকে বলতে পারছি না। আমি একটি অল্প বয়সী মেয়ে। কখনও যদি আমার মনে হয় আমার নিজেকে সাজানো দরকার। আমি এমনিতেই সেজে রয়েছি সাফল্যের দিক থেকে। দেখুন সাজা অনেক রকমের হয়। মানুষ এমনি সময়ে এক রকম সাজে বিয়ের দিন অন্য রকম সাজে। যদি মনে হয় জীবনটাকে সুন্দর করে সাজাতে হবে, সেদিন এই সিদ্ধান্ত সবার আগে সংবাদমাধ্যমের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে নেব। বিয়ে, ডিভোর্স, মেলবন্ধন এটা জীবনের পথচলার একটা পদ্ধতি। আমার জীবনে নেগেটিভিটির কোনও জায়গা নেই”।