‘আজ নয় তো কাল আমরা সিএএ চালু করবই’, পুরসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের নাগরিকত্ব দেওয়ার আশ্বাস সুকান্তের
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কথা বলে বিজেপি কার্যত ভরাডুবি হয়েছে। এরপর থেকে এই বিষয়টি ক্রমেই পিছিয়ে দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে এবার পুরসভার নির্বাচনের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ চালু করার প্রতিশ্রুতি দিতে শোনা গেল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
গতকাল, বৃহস্পতিবার পুরসভা নির্বাচনের প্রচারে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “সিএএ আমরা আজ নয় তো কাল চালু করবই। বিষয়টি নিয়ে সর্বোচ্চ স্তরে চিন্তাভাবনা চলছে। রাজ্য সরকার বিরোধিতা করছে বলেই এই রাজ্যে সিএএ চালু করতে দেরি হচ্ছে। রাজ্য সরকার চাইলে আমরা কালই নিয়মকানুন তৈরি করে সিএএ চালু করব”।
সম্প্রতই দলের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা শান্তনু ঠাকুর। তাঁর নেতৃত্বেই বিদ্রোহী নেতারা একজোট হচ্ছেন। আর এর জেরে বেশ ভয় কাজ করছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে। আর এই কারণেই পুরসভা নির্বাচনের আগে সিএএ-র বিষয়টি ফের উত্থাপন করা হল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
মতুয়ারা দীর্ঘদিন ধরেই নাগরিকত্ব পাওয়ার দাবী জানিয়ে আন্দোলন করে আসছেন। কিন্তু বিজেপি এই বিষয়ে কাজ করতেই পারছে না। এর আগে একুশের নির্বাচনের সময় গাইঘাটাতে ভোটের প্রচারে এসে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু ভোট মিটতেই তা চাপা পড়ে যায়।
এদিকে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যের পর পাল্টা রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “ওঁর রাজনৈতিক পরিপক্বতা নেই। ওঁর জানা উচিত, সিএএ-এর বিধি এখনও চালু হয়নি। সুপ্রিম কোর্টে এটি নিয়ে ১৪৯টি মামলা চলছে। দ্বিতীয় দিলীপ ঘোষ তৈরি হচ্ছেন সুকান্ত। এই সব কথা বলে চললে জেলা থেকে ধোলাই খেয়ে ফিরতে হবে”।