‘তৃণমূল নেতা বাড়িতে বসে বোমা বাঁধছিলেন’, ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় NIA-র তদন্তের দাবী তুললেন শুভেন্দু

গতকাল, শুক্রবার ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভার আগেই ঘটে বোমা বিস্ফোরণের (bomb blast) ঘটনা। তৃণমূল নেতার বাড়িতে এই বিস্ফোরণ নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। একদিকে, তৃণমূলের দাবী অভিষেকের সভার আগে এটা বিজেপির (BJP) ষড়যন্ত্র আর অন্যদিকে, গেরুয়া শিবির তৃণমূল নেতার বাড়িতেই এই বিস্ফোরণের ঘটনায় তোপ দাগছে শাসক শিবিরকে (TMC)। এবার এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-র (NIA) তদন্তের দাবী তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবী, বোমা বাঁধতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্না-সহ আরও দু’জনের।
শনিবার সকালে ওই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এই ঘটনা নিয়ে টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। লিখেছেন, “বিস্ফোরণে তৃণমূল নেতার বাড়ি উড়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, গুরুতর জখম হয়েছেন ২ জন। তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্না তাঁর বাড়িতে বসে বোমা বাঁধছিলেন, সেই সময়ই এই তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। আমি এনআইএ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি”।
3 Dead & 2 others grievously injured as TMC Leader's house blows up in explosion at Bhupatinagar, Bhagabanpur ii Block, Purba Medinipur District.
TMC leader Rajkumar Manna was making bombs at his home when this high intensity explosion happened.
I demand @NIA_India
Investigation. pic.twitter.com/yaEcOlXAmT— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) December 3, 2022
শুধু শুভেন্দুই নন, এদিনের এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে শাসক দলকে তোপ দেগেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভপতি দিলীপ ঘোষও। তাঁর দাবী, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বারবার তৃণমূল নেতাদের নাম জড়াচ্ছে।
বলে রাখি, গতকাল, শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর দু’নম্বর ব্লকের ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়য়াবিলা গ্রামে। মৃতদের নাম রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন। জানা গিয়েছে, রাজকুমার মান্না ওই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। এই ঘটনায় আরও দু’জন গুরুতর জখম হয়েছেন বলে খবর। তাঁদের উদ্ধার করে পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই তৃণমূল নেতার বাড়ির অনতিদূরেই উদ্ধার হয় ঝলসে যাওয়া দেহগুলি। মৃত তৃণমূল নেতা রাজকুমারের স্ত্রীর দাবী, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা মৃতদেহগুলি বের করে নিয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে রাজকুমারের দুই ভাই বিশ্বজিৎ গায়েন ও লালুর। কেন এই বোমা বাঁধা হচ্ছিল, আর কারা এর সঙ্গে যুক্ত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনার পর গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।