তোরণের বাকি সব কিছু ঠিকঠাক, শুধু ছেঁড়া সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর একাধিক ছবি! অন্তর্দ্বন্দ্ব নাকি অন্য কিছু?

শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিয়ে তৃণমূলের বিতর্ক যেনও পিছু ছাড়ছে না। যতই বিধানসভা নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসছে ততই নতুন নতুন করে জন্ম হচ্ছে বিতর্কের। এবার শারদ শুভেচ্ছার তোরণে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি ছেঁড়া নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সংসদীয় এলাকায় শারদ শুভেচ্ছা জানাতে একাধিক তোরণ বানিয়েছিল নারায়ণগড় ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কিন্তু মা দুর্গার বোধনের পরের দিনই দেখা গেল তোরণের বাকি সব কিছু একদম ঠিকঠাক থাকলেও তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর একাধিক ছবি ছেঁড়া হয়েছে। কারা এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ করলো এই নিয়েই শারদোৎসবের মধ্যে শুরু হয় ঝামেলা।
ফ্লেক্সে করজোড়ে শুভেন্দু ছবির সঙ্গে লেখা ছিল ‘শারদীয়া, লক্ষ্মীপুজো, দীপাবলি ও ছটপুজো উপলক্ষে জানাই শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন, জঙ্গলমহলের মুক্তিসুর্য জননেতা শুভেন্দু অধিকারী’। বাকি সব লেখা ঠিক থাকলেও ছেঁড়া হয়েছে শুধুমাত্র শুভেন্দুর ছবিই। এই ঘটনার প্রতিবাদে মৌন মিছিলের আয়োজন করেছে ব্লক টিএমসিপি এমনটাই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ব্লক টিএমসিপির তরফে অভিযোগ করা হয় এসব কাজ বিরোধী দলেরই। যদিও শাসক শিবিরের এই বক্তব্য উড়িয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের দাবি এই ঘটনা নাকি তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। সম্প্রতি তৃণমূলের নতুন রাজ্য কমিটিতে এককভাবে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি শুভেন্দু অধিকারীকে। যা নিয়ে মমতা শিবিরে তৈরি হয়েছে ‘ভাঙন’। তাৎপর্যপূর্ণভাবে যে নন্দীগ্রাম (Nandigram) কান্ডকে হাতিয়ার করে বাংলার মসনদে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamta Bandopadhyay) তার পিছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন এই শুভেন্দুই।
কিন্তু পরবর্তীতে রাজ্য রাজনীতিতে তেমন বড় পদ তিনি পাননি। একই সঙ্গে পাননি গুরুত্বও।পাশাপাশি শারদ শুভেচ্ছা-সহ ‘জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্য জননেতা’ এই ফ্লেক্সে ভরিয়ে দেওয়া হল ঝাড়গ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকা। তৃণমূল সাংসদ হিসেবে নয় বরং এলাকার ‘দাদা’ হয়ে গত কয়েক মাস ধরেই চলছে জনসংযোগ বাড়ানোর কাজ। ব্যক্তিগত উদ্যোগে গৃহহীনদের বাড়ির চাবি, দুঃস্থ মহিলাদের সেলাই মেশিন দিয়ে গিয়েছেন শুভেন্দু। পুজোর মধ্যে শুভেন্দুহীন ফ্লেক্সের ঘটনার পর মমতাহীন শুভেন্দুর ফ্লেক্স নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।