‘এখানকার সাংসদ সর্বভূক, কয়লা, বালি, মদের বোতল, চাকরি সব খান’, ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়িয়ে অভিষেককে বেলাগাম আক্রমণ শুভেন্দুর

আজ রাজ্যের দু’জায়গায় ছিল দুই হাইভোল্টেজ সভা। একদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পাড়ায় ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভা। আর অন্যদিকে, অভিষেকের গড় অর্থাৎ ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbor) সভা করেন শুভেন্দু। এদিন সভা থেকে অভিষেককে বেলাগাম আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “এখানকার সাংসদ সর্বভূক। কয়লা, বালি, মদের বোতল, স্কুল ইউনিফর্মের টাকা, চাকরি – সব খান। কেউ খেয়ে পালাতে পারবে না। মোদিজি বলেছেন, না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা”।
এদিন ডায়মন্ড হারবারের লাইটহাউস মাঠে শুভেন্দুর সভার আগে সকাল থেকেই জেলাজুড়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। বেলা বাড়তেই শুরু হয় রাস্তা অবরোধ, দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, বাস ভাঙচুর, টায়ার জ্বালানোর মতো ঘটনা। বিজেপির অভিযোগ, শুভেন্দুর সভা বানচাল করতে তৃণমূল কর্মীরা এমন অশান্তি বাঁধিয়েছে।
এহেন পরিস্থিতিতে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে লাইটহাউসের মাঠে সভা করতে যান বিরোধী দলনেতা। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক অসীম সরকার, অগ্নিমিত্রা পল, বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষরা। মঞ্চে উঠে প্রথমেই তিনি জানান যে এই অশান্তি নিয়ে সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হবেন। এদিন নাম না করেই স্থানীয় সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেলাগাম আক্রমণ করতে শুরু করেন তিনি।
শুভেন্দু বলেন, “ভাইপোর বাহিনী ভেবেছিল, এভাবে রাস্তা আটকাবে। আমি সভা করতে পারব না। সভাটা বানচাল করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ভাইপো, সভাটা হল তো? লোক কমিয়ে দিয়েছো, কিন্তু সভাটা তো হলই। আমি স্টার্টিংয়ে নয়, ফিনিশিংয়ে বিশ্বাসী। এবার ফিনিশিংয়ের দায়িত্বটা নিলাম। মমতাকে ওখানে হারিয়েছি, এবার তাড়াব”।
এদিন সভা নিয়ে অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে কাঁথি থেকেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পালটা বলেন, “এক ডাকে অভিষেকে ফোন করুন, আমি ব্যবস্থা করে দেব। আমার নাম ব্যবহার করুন, ধার দিলাম। যতবার ব্যবহার করবেন অক্সিজেন পাবেন। শালীনতার সীমা বজায় রাখুন। আমাকে আক্রমণ করুন যত ইচ্ছে”।
এর আগেও নানান বিজেপি নেতারা বারবার ডিসেম্বর নিয়ে হুমকি শানিয়েছে। এদিনও এই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, “আমি আবার এই মাসে আসব। আপনাদের জন্য গাড়ি করে লাড্ডু নিয়ে আসব। কারণটা কিন্তু এখন বলব না”।
এদিন সভার আগের অশান্তির জেরে সমর্থকদের নিয়ে উদ্বিগ্ন শুভেন্দু বলেন, “আমি সভা শেষে এখানে বসে থাকব। আগে আপনারা বাড়ি ফিরবেন। তারপর আমি রওনা হব। আপনাদের ভাল থাকতে হবে, সুস্থ থাকতে হবে। আমার সঙ্গে দেহরক্ষী আছে, আমার কিছু হবে না”।