‘এখন বাংলার শিক্ষাব্যবস্থার হাল দেখলে স্বামীজি প্রস্থান করতেন’, ফের রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর, পাল্টা খোঁচা দিলেন তৃণমূলের শশীও

আজ স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) জন্মবার্ষিকী। জন্মতিথিতে স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে তোপ দাগতেও ছাড়লেন না তিনি। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে শুভেন্দু বলেন যে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থার (education system) হাল দেখলে স্বামীজি এখান থেকে প্রস্থান করতেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে সিমলা স্ট্রীটে যান শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানানোর পর তৃণমূলকে নিয়ে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। বলেন, “স্বামীজি এই শিক্ষা দেখে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন। অন্য কোনও রাজ্য বা দেশে গিয়ে আশ্রয় নিতেন। এরাজ্যের শিক্ষার যা অবস্থা করেছে। গোটা শিক্ষাদফতরটাই ভিতরে”।
প্রসঙ্গত, গত বছরের জুন মাস থেকেই রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ক্রমেই উত্তাল হতে থাকে পরিস্থিতি। এই দুর্নীতির মামলার তদন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। জুলাই মাসের শেষের দিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখপাধায়্যের দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ৫০ কোটি টাকা। তাঁকেও গ্রেফতার করে ইডি।
এরপর একে একে সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এসপি সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত মূলচক্রীদের গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তা নিয়ে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্যে। সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্য এখনও উত্তাল।
এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলেই রাজ্য সরকারকে একহাত নেন শুভেন্দু। নাম না করে তৃণমূল নেতাদের কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “এবার প্রথম দেখলাম স্বামীজির জন্মভিটায় আসার রাস্তায় স্বামীজির ছবি ছোট। কার্বাইডে পাকানো নেতার ছবি বড়”।
শুভেন্দুর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তাঁকে পাল্টা খোঁচা দেন তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা। বলেন, “এঁদের বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা জানানোর অধিকারই নেই। বিজেপি নেতার দীনতা দূর হোক। চৈতন্য হোক”। বলে রাখি, এদিন সিমলা স্ট্রিটে যান শশী পাঁজাও। বিবেকানন্দের মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি।