‘ডিএ আন্দোলনকারীদের গায়ে যদি কোনও আঁচড় লাগে ছেড়ে কথা বলব না’, নবান্নকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
ডিএ আন্দোলনকারীদের (DA protesters) ধর্মঘটের জেরে তাদে একদিনের বেতন কাটার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। শুধু তাই-ই নয়, এই ধর্মঘটে সামিল হওয়া শিক্ষকদের শোকজও করা হয়েছে। এই নিয়ে সরব বিরোধীরা। রাজ্য সরকারি কর্মচারী (state government employees) বা শিক্ষকদের গায়ে যদি কোনও আঁচড় লাগে, তাহলে মাঠে নামার হুঁশিয়ারি শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
গতকাল, রবিবার নন্দীগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান সকলকে শোনানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি।
আগামী বুধবার ডিএ আন্দোলন মঞ্চ থেকে ১০০ মিটার দূরেই রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “কলকাতায় সভা করার অনেক জায়গা ছিল। ব্রিগেডে সভা হতে পারত। যদি কোনও আন্দোলনকারী সরকারী কর্মচারী বা শিক্ষকদের গায়ে আঁচড় লাগে, তাহলে বিরোধী দল হিসাবে আমরা তাঁদের পাশে থাকব। আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে মাঠে নামব”।
অন্যদিকে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, “সব শোকজ লেটার ছিড়ে ফেলে দিন। সসমস্ত আইনি সুরক্ষা আমরা দেব। বিজেপি ক্ষমতায় এলে আমরা সার্ভিস ব্রেক হতে দেবো না। আপনারা আপনাদের লড়াই চালিয়ে যান”।
বকেয়া ডিএ-র দাবী নিয়ে অনেকদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবী করেছেন তারা। এই নিয়ে একদিনের ধর্মঘটও পালন করেছেন। এর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের তরফে পদক্ষেপ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে। আজ, সোমবার বাংলায় আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এদিনই তাঁকে গণ মেল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।
নন্দীগ্রাম থেকে গতকাল শুভেন্দু আরও বলেন, “দুয়ারে সরকারের নামে রাজ্য যে কাজ করতে চাইছে তার বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নাম বদলে, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে প্রচার করতে চাইছেন। কিন্তু, মানুষ সব জানে। চুরি আর দুর্নীতি ছাড়া এ সরকার আর কিছু জানে না”।
শুধু তাই-ই নয়, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর বাবাকে নিয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, “আমার বাবার নাম করে বিধানসভায় কোন ব্যাঙ্গাত্মক কথা বললে আমি প্রতিবাদ করি। আর উদয়ন গুহ ভালো হওয়ার জন্যে নিজের বাবাকে চোর বলছেন। এর থেকে লজ্জার কিছু নেই। এটাই তৃণমূলের কালচার”।