রাজীব ও আমি একসঙ্গে লড়াই শুরু করি, রাজীব এসে বৃত্ত সম্পূর্ণ হল! হাওড়ার সভায় রাজীবকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে মন্তব্য শুভেন্দুর
গতকালই দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহ্’র হাত থেকে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর আজ রবিবার, হাওড়ার ডুমুরজোলার যোগদান সভাতে অংশ নেন রাজীব। এদিন হাওড়ার সভায় উপস্থিত রয়েছেন স্মৃতি ইরানি, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী। এই মঞ্চেই রাজীবকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান বিজেপির সদ্য নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন হাওড়ার মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন যে হাওড়া ৫০০ বছরের প্রাচীন শহর। তাঁর দাবী, আজ যতজন এই ঐতিহ্যশালী স্টেডিয়ামে এসেছেন, এর দ্বিগুণেরও বেশি মানুষ রাস্তায় রয়েছেন। গোটা রাস্তা ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনিতে ছেয়ে গিয়েছে। এরপর রাজীবকে দলে স্বাগত জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “রাজীব আমার বন্ধুপ্রতিম। আমি আর রাজীব ২০০৪ সাল থেকে একসঙ্গে লড়াই শুরু করেছিলাম। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া ছিল। বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে আমরা একসঙ্গে ছিলাম। ১৯শে ডিসেম্বর শুভেন্দু এসেছে। আজ রাজীব এল, বৃত্ত সম্পূর্ণ হল”।
এদিন মঞ্চে শাসকদলকে শানিয়ে শুভেন্দুর হুংকার দিল্লিতে ও কলকাতায় একই সরকার থাকবে। বাংলায় পরিবর্তন আনতে হবে। ১১-তে আসল পরিবর্তন আসেনি। কিন্তু একুশে আসল পরিবর্তন আসবে বলেই ঘোষণা করেন তিনি। এও বলেন যে তৃণমূলকে মানুষ বিশ্বাস করে না। তৃণমূল এখন লিমিটেড কোম্পানি। সরকার এখন যমের দুয়ারে। তৃণমূলে আর কেউ থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি জারি করেন শুভেন্দু। এদিন রাজীবকে বরণ করে নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, “সব নেতাদের গলায় সোনার চেন, এটাই বাংলার উন্নয়ন”।
উল্লেখ্য, গতকাল, শনিবার দু’দিনের রাজ্য সফরে আসার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্’র। এরপর আজ রবিবার হাওড়ার সভা থেকেই শাহ্’র উপস্থিতিতেই বিজেপি যোগ দেওয়ার কথা ছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও অন্যান্য তৃণমূলত্যাগী নেতা-বিধায়কদের। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে দিল্লির ইজরায়েল দূতাবাসের সামনে আইইডি বিস্ফর হওয়ায় শাহ্’র বাংলা সফর বাতিল হয়ে যায়। এর জেরে গতকাল বিশেষ বিমানে দিল্লি উড়ে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল, রুদ্রনীল ঘোষ, রথীন চক্রবর্তী প্রমুখ। এরপর এদিন সন্ধ্যাতেই অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডার উপস্থিতিতে পদ্মশিবিরে অভিষেক ঘটে তাদের। এদিন শাহ রাজীবদের বলেন, “বাংলা আমাদের পাখির চোখ, আমরা বাংলাকে রক্ষা করবই”। পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার পর আজ হাওড়ার সভায় যোগ দেন রাজীব।