‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করে নিজের নামে চালাচ্ছে রাজ্য সরকার’, চিঠি লিখে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অভিযোগ জানালেন শুভেন্দু

রাজ্য সরকার একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের (Central Project) নাম বদলে তা নিজের নামে চালাচ্ছে, এমন অভিযোগ এর আগেও করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার ফের একবার এই অভিযোগ করে চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন তিনি। প্রত্যেক চিঠিতেই কেন্দ্র ও রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের তুলনা করে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি সারদা কাণ্ডের (Sarada Scam Case) তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও সিবিআই (CBI) ডিরেক্টরকে চিঠি দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখে শুভেন্দু জানিয়েছেন, কেন্দ্রের ‘ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পকে ‘উৎকর্ষ বাংলা’ নাম দিয়ে চালু করেছে রাজ্য সরকার। ‘উৎকর্ষ বাংলা’র মাধ্যমে রাজ্যের বেকার যুবক, যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। একই ধরনের কাজ হয় ‘ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পে।
শুভেন্দুর অভিযোগ, শুধুমাত্র কেন্দ্রের কৃতিত্বকে ছোটো করার জন্য নিজের মতো নাম দিয়ে এই প্রকল্প চালাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। এছাড়াও ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা’র কাজ বাংলায় চলছে ‘বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা’ নাম দিয়ে। যেখানে গোটা রাজ্যকে সড়কপথে জুড়তে রাস্তা তৈরির কাজ চলছে।
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু নালিশ জানিয়েছেন যে কেন্দ্রের ‘প্রধানমন্ত্রী মাতৃবন্দনা যোজনা’ প্রকল্পটি রাজ্য সরকার ‘বাংলা মাতৃ প্রকল্প’ নাম দিয়ে চালাচ্ছে। এই প্রকল্পের কৃতিত্ব আসলে মোদী সরকারের। এই প্রকল্পে প্রসূতি মায়েদের দেখাশোনা করা হয়। কিন্তু তৃণমূল নিজের প্রভাবের জেরে রাজ্যে কেন্দ্রের এই প্রকল্পকে নিজেদের প্রকল্প বলে চালাচ্ছে বলে শুভেন্দুর অভিযোগ। বিরোধী দলনেতার কথায়, এই প্রকল্পের টাকাও আসে কেন্দ্র থেকেই।
অন্যদিকে, সারদা কাণ্ডের তদন্তে সুদীপ্ত সেনের মুখে তাঁর নাম নিয়েও এদিন প্রতিক্রিয়া জানান শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে কোনও আসামি কোনও কিছু নিয়ে অভিযোগ করলে, সেটা আইনত ধরা হয় না। এই নিয়ে সিবিআইকে চিঠি দিয়েছিলাম। আমার দাবি, কী করে এই বয়ান উনি দিলেন, কে এই বয়ান ওঁকে লিখে দিল, তার আগে তদন্ত করতে হবে”।
এ নিয়ে তাঁকে পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, “আসামিকে জেরা করা হয় তদন্তে সাহায্যের জন্য। তাই আসামির বক্তব্যই যদি না ধরা হয়, তাহলে তার গ্রেপ্তারিই বিফলে যায়। এটা শুভেন্দুর মাথায় রাখা উচিত”।