বামেদের অনেক কিছুতেই নিন্দা করি, কিন্তু তাও ‘চুরির সরকার’-এর থেকে ভালো! নির্বাচনে বামেদের পাশে চেয়ে আবেদন শুভেন্দুর
আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলাকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। শাসকদলকে হারাতে এবার বামেদের সমর্থন চাইলেন সদ্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ, বৃহস্পতিবার কেশপুরের সভা থেকে শুভেন্দুর বার্তা, যে দলই করুন না কেন, ভোট পর্যন্ত পদ্মফুলেই থাকুন । তাঁর দাবী একমাত্র বিজেপিই পারে এই ‘চুরির সরকার’কে হারাতে।
এরপর তিনি বামেদের প্রসঙ্গে বলেন, তাঁর কাছে লক্ষ্মণ শেঠ হার্মাদ হলেও, জ্যোতিবাবু, বুদ্ধবাবুরা আলাদা। তাঁর বক্তব্য, তিনি বামেদের অনেক কিছুতেই আপত্তি জানান। ছোটো আঙারিয়া, নেতাই, নন্দীগ্রামের ঘটনার নিন্দা করেন। কিন্তু তবুও বাম আমলে প্রত্যেক বছর এসএসসি হত, আর এখন লক্ষ লক্ষ যুবক বেকার।
শাসকদলকে টিকা চোর বলেও কটাক্ষ কেন শুভেন্দু। এই প্রসঙ্গে বলেন যে বর্ধমানে ১৫ জন নার্সের টিকা চুরি করে তৃণমূল বিধায়ক, প্রাক্তন বিধায়ক, জেলা পরিষদের লোকেরা টিকা নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বারণ সত্ত্বেও তা শোনেনি। প্রধানমন্ত্রী নিজে এখনও টিকা নেননি, এদিকে টিকা চোরেরা ঠিক তা নিয়ে নিয়েছে বলে দাবী শুভেন্দুর।
এদিন কেশপুরের সভাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শানাতেও কসুর করেননি তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর হুংকার, “এখন এত বড় বড় কথা। নেত্রী বলছেন আমি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াব। আবার পুরুলিয়াতে গিয়ে বলছেন পচা গলা মালেরা বেরিয়ে যাচ্ছে ভালো। যদি পচা গলা মালেরা বেরিয়ে গেলে ভালোই হয়, তাহলে পায়ে কাঁটা ফুটছে কেন, এত যন্ত্রণা কেন?”
অন্যদিকে, পরোক্ষভাবেই ফের একবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীর বিঁধলেন শুভেন্দু। বলেন, তোলাবাজ ভাইপো বললে যদি গায়ে লাগে, তাহলে সরাসরি নাম ধরেই বলবেন তিনি। এরপরই তাঁর দাবী কয়লা পাচারে লালা, গরু পাচারে এনামূল ধরা পড়েছে। বিনয় মিশ্রের পিছনে সিবিআই। শুভেন্দু জোর গলাতেই বলেন যে এরপর চৌকাঠ পেরলেই তোলাবাজ ভাইপোও ধরা পড়বেন।
এদিন কাটমানি নিয়েও শাসকদলকে কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর দাবী, রাজ্য সরকার সব জায়গা থেকে কাটমানি খাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বাড়ি তৈরির টাকা দিচ্ছে। সেই টাকাকে বাংলা আবাস যোজনা নামে চালিয়ে কাটমানি খাচ্ছে তৃণমূল। এই দল যে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে, তা বারবার জোর গলায় এদিন বুঝিয়ে দেন শুভেন্দু।