বাংলার বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় বড়সড় গাফিলতির হদিশ মুখ্যমন্ত্রী কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ দলের।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ দলের হাতে এলো কপালে ভাঁজ ফেলার মতো তথ্য। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় বড়সড় গাফিলতি খুঁজে পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর এই বিশেষজ্ঞ দল। রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়া রিপোর্টে পাওয়া গিয়েছে সেই গাফিলতির সর্বাংশ।
মাত্র দশ দিনে পাঁচ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে বাংলায়। তাঁদের মধ্যে মারা গিয়েছেন ১২৯ জন। এর জেরে রাজ্যে মোট করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১৭। শুক্রবার পর্যন্ত বাংলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০,৪৮৮ জন।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, ‘করোনা চিকিৎসায় দুই বিশেষজ্ঞ দলের থেকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ পাওয়ার পরে গত পাঁচ দিনে আমরা রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে তিনটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছি।’
গত ২৪ জুন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দুটি বিশেষজ্ঞ নজরদারি দল গঠন করে রাজ্য সরকার। প্রতিটি দলে আছেন তিন জন করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। যে সমস্ত হাসপাতালে কোভিড রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, সেই সব জায়গায় দলগুলি ঝটিতি সফর করে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বেশ কিছু গাফিলতি আবিষ্কার করেছে। বিশেষ নজরদারির অভাব দেখা গিয়েছে অক্সিজেন ও স্টেরয়েডের ডোজ দেওয়ায়। রোগীদের আইসিইউ বিভাগে শয্যা না পাওয়ায় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোগীর বিছানাপত্র টুকুরও সঠিক যত্ন না নেওয়ার মতো বিষয়ে।
বিশেষজ্ঞ দলের এক সদস্যের কথায়, ‘হাসপাতাল পর্যবেক্ষণের সময় দেখা গেছে, চিকিৎসক কোনও রোগীকে অক্সিজেন প্রেসক্রাইব করলেও তাতে ডোজের উল্লেখ নেই। কোনও কোনও হাসপাতালে অ্যান্টিবায়োটিক নীতি অনুপস্থিত। কোথাও আবার হাসপাতাল থেকেই করোনা সংক্রমিত হয়েছেন রোগীরা।’
গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় দুই দিন অন্তর পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। শুক্রবার নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৩,৬৬৯ এবং নতুন করে একদিনে মৃতের সংখ্যা ১৮।