৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগ না করা হলে আমরণ অনশন, সরকারকে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি টেট উত্তীর্ণদের
কেটে গিয়েছে বছরের পর বছর। একের পর এক প্রতিশ্রুতির পরও মেলেনি চাকরি। সেই কারণে শেষ পর্যন্ত গতকাল, সোমবার সল্টলেকের করুণাময়ী মোড়ে এপিসি ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান টেট উত্তীর্ণরা। সারারাত চলে এই বিক্ষোভ। অবশেষে আমরণ অনশনের পথে হাঁটলেন তারা। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি নিয়োগপত্র না দেওয়া হয়, তাহলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিলেন তারা।
গতকাল, সোমবার থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন টেট চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের দাবী, “দ্রুত চাকরিতে নিয়োগ করা হোক”। পরবর্তীতে সারারাত সেই আন্দোলন চলে। বর্তমানে তা পরিবর্তিত হয়ে আমরণ অনশনের পথে অগ্রসর হতে চলেছে। আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি, “৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগ পত্র যদি হাতে না মেলে, তবে আমরণ অনশন হবে”। বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন তারা।
গতকাল প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের সামনে টেট উত্তীর্ণরা বিক্ষোভ দেখানো শুরু করলে বেশ আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় সেখানে। মোতায়েন করা হয় বিপুল পুলিশ বাহিনী। চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। কিন্তু তাতে রাজি হন নি তারা। রাতভর চলে এই বিক্ষোভ। তাদের দাবী, তারা চাকরি নিয়েই বাড়ি ফিরবেন।
বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের দাবী, “২০১৭ সালে যারা টেট পরীক্ষার্থী ছিল, তাদের সঙ্গে যদি আমাদের প্রতিযোগিতা করা হয়, তাহলে পিছিয়ে যাব। বারংবার ইন্টারভিউ দেওয়া সত্ত্বেও চাকরি মেলেনি। বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে, সেখানে আমরা অংশগ্রহণ করব না। কারণ, সেই বিজ্ঞাপনে অসংখ্য ভুল রয়েছে”।
উল্লেখ্য, টেট চাকরিপ্রার্থীদের এই বিক্ষোভের জেরে গতকাল এপিসি ভবন থেকে বের হতে পারেন নি প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের অনেক আধিকারিকই। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। কিন্তু তাও অবস্থান বিক্ষোভ থেকে একচুলও সরেন নি আন্দোলনকারীরা। এর মাঝেই এবার আমরণ অনশনের ডাক দিলেন তারা। এবার সরকারের সিদ্ধান্ত কী হয়, সেটাই দেখার পালা।