বুধবার প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফানের জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাদিক জেলা তছনছ হয়ে গেছে।ভেঙেছে কত ঘরবাড়ি, কত নদীবাঁধ, উপড়ে পড়েছে কত গাছ, ধ্বংস হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে সজনেখালিরেঞ্জ থেকে সরিয়ে দিতে হয়েছে ট্রাঙ্কুলাইজার টিম। উড়ে গিয়েছে ব্যাঘ্র প্রকল্পের বিস্তীর্ণ এলাকার ফেন্সিংও। ফলে এদিকে ঘরবাড়ি হারানোর ভয় অন্যদিকে বাঘের ভয়ে দিনকাটছে সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের। আমফান সম্পর্কে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বিস্তীর্ণ এলাকা এখন বিপর্যস্ত। কোনও জায়গার সঙ্গে একটানা যোগাযোগ করাই সম্ভব হচ্ছে না। যতটুকু খবর এসেছে তাতে প্রচুর ক্ষতির কথাই জানা গেছে।’
প্রসঙ্গত সম্প্রতি সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে।আর সেই কারণেই যতটা সম্ভব বাড়তি বেড়া ও জাল লাগিয়ে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলোর কাছে রাখা হয়েছিল বাড়তি ট্রাঙ্কুলাইজার টিম। বিশেষ করে পাখিরালয়ের কাছে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেসবই ঝড়ের দাপটে তছনছ হয়ে গেছে। ঝড়ের তান্ডবে ভেঙেছে পাখিরালয় জেটি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নামখানা টাওয়ার।
বনমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘এলাকাগুলিতে এখন বিদ্যুৎ সনযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ফলে রেডিও ট্রান্সমিটারের সাহায্য নিলেও খুব একটা কাজে আসছে না। বনকর্মীদের বলেছি সতর্ক থাকুন। নিজের জীবন বাঁচিয়ে কাজ করুন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সব খতিয়ে দেখা হবে।’
বনদফতর আশ্বাস দিলেও সুন্দরবনবাসীরা বাঘের আতঙ্কেই দিন কাটাচ্ছে। যদিও জলে কুমীর, ডাঙায় বাঘ নিয়েই তাদের নিত্যদিনের সংসার।
Related Posts