নামেই কার্যকারিণী বৈঠক, বৈঠকে কিছু বলার সুযোগই পেলেন না বিজেপির রাজ্য নেতারা
গতকাল ছিল বিজেপির কার্যকারিণী বৈঠক। বিধানসভায় হারের কারণ বিশ্লেষণ করার কথা ছিল এই বৈঠকে। মকিন্তু রাজ্য নেতারা সেভাবে কিছু বলার সুযোগই পেলেন না। বক্তব্য রাখতে দেওয়া হল না বিজেপির জেলা সভাপতিদের।
বৈঠকের শেষে বক্তব্য রাখেন জেপি নাড্ডা কিন্তু তা-ও ভোকাল টনিক মাত্র। কৈলাস বিজয়বর্গীয় দেখা দিলেন বটে তবে ইদের চাঁদের মতোই। শিবপ্রকাশের তো দেখাই মিলল না। শেষমেশ সমস্ত দোষ বর্তাল রাজ্য নেতাদের উপরেই।
বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিপর্যয়ের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপকেই দায়ী করেছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। গতকালের কার্যকারিণী বৈঠকে সেসব কথাই তুলে ধরার কথা ছিল রাজ্য নেতাদের। কিন্তু যেমন ভাবা তেমন আর কাজ হয় কোথায়। বৈঠকে অরবিন্দ মেনন ছাড়া সেভাবে আর কোনও কেন্দ্রীয় নেতাদেরই দেখা মিলল না।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বৈঠকের শেষে ভার্চুয়াল ভাষণ দেন ঠিকই কিন্তু বৈঠকের আলোচনা তিনি খুব বেশি শোনেননি। অন্যদিকে অল্প সময়ের জন্যই ভারচুয়ালি দেখা গেল কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের কিন্তু তিনি কোনও কথাই বলেননি। আর বৈঠকে তো হাজিরই হলেন নে অন্য এক পর্যবেক্ষক শিবপ্রকাশ।
বিধানসভায় বিজেপির হারের জন্য রাজ্য নেতৃত্বকেই দোষারোপ করা হয় এই বৈঠকে। রাজ্য নেতাদের কাঠগড়ায় তোলেন অরবিন্দ মেনন। তাঁর কথায়, দলের রাজ্য নেতারা ভেবেছিলেন তিনি ফাঁকি দিলেও অন্যরা কাজ উতরে দেবে। কিন্তু এভাবে একেবারেই ফাঁকি পেয়ে গিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন- সৌজন্যের অন্যতম নজির বাংলায়! মোদীকে সুস্বাদু, রসালো আম উপহার হিসেবে পাঠালেন মমতা
এই বৈঠকে কোনও কথা বলার সুযোগই দেওয়া হল না জেলা সভাপতিদের। বৈঠকে পেশ হয় জয়প্রকাশ মজুমদারের লেখা রাজনৈতিক প্রস্তাব। তবে তাতে হারের কারণের থেকে এ রাজ্যে বিজেপির শ্রীবৃদ্ধিকেই বেশি করে তুলে ধরা হল। এবার বিধানসভা ভিত্তিক হারের কারণ পর্যালোচনা করবে বিজেপি, দলের তরফে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।