ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিল যশ, আছড়ে পড়ার সময় গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার
পূর্বাভাস মতোই কাজ হল। সোমবার ভোরবেলার দিকেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল যশ। আগামী বুধবার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় এই ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার। কোনও কোনও সময় আবার ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটারেও।
মৌসম ভবন সূত্রের খবর, গত ছ’ঘণ্টায় পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একই জায়গায় অবস্থান করছে যশ। এই সময়ই শক্তি বাড়িয়ে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ পোর্ট ব্লেয়ারের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে ৬০০ কিলোমিটার, বালাসোরের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৬৫০ কিলোমিটার, পারাদ্বীপের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে ৫৪০ কিলোমিটার, এবং দিঘার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৬৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে যশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা ধীরে ধীরে অগ্রসর হবে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে এবং প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে।
সোমবার বিকেলের পর থেকে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনা। তবে দমকা হাওয়ার জেরে এই গতিবেগ পৌঁছে যেতে পারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারে। আগামীকাল, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝড় বইতে পারে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে। আবার কখনও কখনও তা ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন- যশের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে জরুরি বৈঠক মোদী’র
মঙ্গলবার রাতে আরও বাড়বে ঝড়ের বেগ। তা পৌঁছতে পারে ৬০-৭০ কিলোমিটারে। আবার দমকা হাওয়ার বেগ পৌঁছে যেতে পারে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারে। এরপর বুধবার সকাল থেকে ৯০-১০০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝড়। সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝড়ের গতিবেগ ক্রমশ বাড়তে থাকবে। কখনও কখনও তা ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।
এরপর বুধবার সন্ধ্যায় এই ঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার। আবার তা কখনও কখনও ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটারেও পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর জেরে আগামীকাল থেকেই শুরু হবে বৃষ্টি। মঙ্গলবার অতি ভারী বৃষ্টি হবে মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিতে। এরপর বুধবারও অতি ভারী বৃষ্টি হবে ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতার কয়েকটি অংশে। অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টি হবে মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মুর্শিদাবাদের কয়েকটি জায়গায়।
এই পরিস্থিতির জেরে সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত মধ্য বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিসেধ করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর থেকে বুধবার পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ লাগোয়া সমুদ্র উপকূলবর্তী জায়গায় একেবারেই যেতে বারণ করা হয়েছে।