মধ্যযুগীয় বর্বরতা! বাড়ির বাইরে বেরিয়ে কাজে যাওয়ায় ন্যাড়া করা হয়েছিল মহিলাকে, খোঁজ মিলল ওই বধূর, দিলেন গোপন জবানবন্দি
কাজের জন্য বাড়ির বাইরে পা রেখেছিলেন তিনি। এটাই ছিল তাঁর অপরাধ। সেই কারণে মাথা ন্যাড়া করে শাস্তি দেওয়ার নিদান দেওয়া হয় সালিশি সভায়। এমনই এক অভিযোগ উঠে এসেছিল ডেবরা থেকে। এবার সেই বধূকে উদ্ধার করল পুলিশ।
সূত্রের খবর, গতকাল, রবিবার ওই বধূকে দুই মেদিনীপুরের সীমানা সংলগ্ন এলাকা রাতুলিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাঁকে তোলা হয় আদালতে। সেখানে বিচারকের সামনে গোপন জবানবন্দি দেন ওই বধূ।
পুলিশ সূত্রে খবর অনুযায়ী, ওই বধূর নাবালিকা মেয়েকেও উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন। সূত্রের খবর, ওই বধূকে তাকে সরকারি হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ডেবরা থানায় বধূ নিখোঁজের অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁর মা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে ওই বধূকে সালিশি সভায় ন্যাড়া করা হয়েছিল। এই ঘটনায় শুক্রবার দুই মহিলা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ডেবরার চক অনন্ত গ্রামের ওই বধূ নাকি কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। আর তিনি বাড়ি ফিরতেই তাঁকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের সালিশি সভায়। সেই সালিশি সভায় তাঁর মাথা ন্যাড়া করানো হয় বাইরে বেরিয়ে কাজ করার জন্য। এই ঘটনার পর ওই মহিলা পালিয়ে গিয়েছিলেন। অবশেষে গতকাল, রবিবার তাঁকে পুলিশ উদ্ধার করে।
প্রশাসনের সূত্র অনুযায়ী, ওই মহিলার স্বামী অসুস্থ থাকায় তাঁর শিশুকন্যাকে কিছু টাকার বিনিময়ে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে নেমে ওই শিশুকেও উদ্ধার করেছে প্রশাসন।