West Bengal

অসিত মজুমদারকে ‘কাটমানিখোর’ বলে তোপ তৃণমূল কাউন্সিলরেরই, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ সামনে আসতেই বিপাকে তৃণমূল বিধায়ক

বিজ্ঞাপন

কিছুদিন আগেই এক মহিলা তৃণমূল কর্মীকে দিয়ে পা টেপানোর কারণে বেশ বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল খাটে হেলান দিয়ে বসে রয়েছেন তিনি। আর দেবানন্দপুরের তৃণমূল কর্মী রুমা রায় পাল বেশ হাসিমুখে তাঁর পা টিপে দিচ্ছেন। এবার ফের একবার খবরের শিরোনামে চুঁচুড়ার বিধায়ক। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ প্রকাশ্যে আসতেই বাড়ল বিতর্ক।

বিজ্ঞাপন

একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মেসেজ সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে চুঁচুড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুপর্না সেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার ও চুঁচুড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়কে ‘কাটমানিখোর’ বলে উল্লেখ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এই বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমে সুপর্ণা বলেন, “আমি কিছু বলিনি। যা বলার বিধায়কই বলবেন। আমি ডিলিট করে দিয়েছি। আমার যে ভুল হয়েছে সেটা আমি লিখেও দিয়েছি। অনিচ্ছাকৃতভাবে চলে গিয়েছে। আমি দুঃখিত তা দলকেও জানিয়ে দিয়েছি”।

বিজ্ঞাপন

সুপর্ণা সেনের নামে ওই মেসেজে লেখা, “চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাটমানিখোর অসিত মজুমদার চুঁচুড়া বিধানসভায় কাটমানিখোর ভজনকে নিয়ে ১১০টি পুকুর ও জলাজমি বুজিয়ে বিগত পাঁচ বছরে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। ইডি ও সিবিআইয়ের নজরে থাকা কাটমানিখোর বিধায়ক অসিত মজুমদার জলাভূমি বুজিয়ে প্রোমোটার রাজির প্রজেক্টে ২ কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন। অসিত মজুমদারদের গ্রেফতার করতে হবে”। ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ নামের এক হোয়াটসঅয়াপ গ্রুপে এই মেসেজের স্ক্রিনশট এখন রাজ্য-রাজনীতিতে হইচই ফেলেছে।

বিজ্ঞাপন

এই নিয়ে সুপর্ণা ‘ভুল ‘ স্বীকার করলেও অসিত মজুমদারের দাবী এই কাজ বিজেপি করেছে। তাঁর কথায়, “সব যে করেছে তার সাহস থাকলে নিজের নামেই ছাড়ুক। কেউ যদি কাউকে ৫ কোটির সম্পত্তির মালিক বলেন, তা হলে তো প্রমাণ করতে হবে। আমি তো পুলিশেও অভিযোগ জানিয়েছিলাম পুরভোটের সময়। যে ছেলেটা এসব করছে, দু’দিন আগেও করেছে। আমার কাছে নম্বরও আছে”।

বিধায়কের কথায়, এই এলাকায় পুকুর ভরাট থেকে শুরু করে তোলাবাজি, গুন্ডাবাজি, গাছ কাটা সবই রুখেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর নামেই এখন দোষারোপ করা হচ্ছে। অসিত মজুমদারের কথায়, “যারা এসব অন্যায় করে তাদের সঙ্গে বিজেপি হাত মিলিয়েছে। আমি এসবের পরোয়া করি না”।

বিজ্ঞাপন

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “চুঁচুড়ায় পুকুর ভরাট হয়েছে এটা তো আমরা আগে থেকেই বলেছি। এখন তাঁর দলের লোকেরা বলছে। ঘটনা যে সত্যি তা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। আমরা তদন্ত চাই”।

বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading