দমকলেও দুর্নীতি? চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা, গ্রুপ ডি-তে চাকরি দেওয়ার নামে ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ তৃণমূল নেত্রীর

বর্তমানে একাধিক দুর্নীতিতে (corruption) জর্জরিত রাজ্য। শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির (teachers recruitment scam) দায়ের জেলবন্দি শাসক দলের একাধিক নেতা। টাকা দিয়ে চাকরি বিক্রি আবার টাকা নিয়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েও চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নানান তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এবারও তেমনই অভিযোগ উঠল হুগলির খানাকুলের তৃণমূল নেত্রী জিয়ামুন্নেসা দরগাইয়ের (Jiyamunnesha Daugai) বিরুদ্ধে।
২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি খানাকুল-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির নারী ও শিশুকল্যাণ কর্মাধ্যক্ষ অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী জিয়ামুন্নেসা দরগাই। ২০১৮ থেকে খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তিনি। গত কয়েকদিন আগেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে খানাকুলের রামমোহন ২ অঞ্চল তৃনমূলের সহ সভাপতি নির্বাচিত করেছিল তৃণমূল।
অভিযোগ, খানাকুলের গোবিন্দপুরের বাসিন্দা ব্রজমোহন আদকের থেকে চাকরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু চাকরি আর হয়নি। টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই টাকা ফেরত দেন নি অভিযুক্ত নেত্রী। এরপরই আরামবাগের এসডিপির দ্বারস্থ হন ব্রজমোহনবাবু।
ব্রজমোহনবাবুর কথায়, “বছর ছয়েক আগে টাকা নিয়েছিলেন। তারপর থেকে চাকরি দেওয়ার নামে আমাকে ঘুরিয়েই যাচ্ছেন। ওর বাড়ি গিয়ে গিয়ে জুতো ছিড়েছে। টাকা ফেরত দিয়ে দেবেও বলেছিলেন। কিন্তু টাকা ফেরত দেননি। দমকলে চাকরি করে দেব বলেছিলেন। তারপর ঘোরায়। শেষে বলে স্বাস্থ্য দফতরে গ্রুপ ডি-তে চাকরি করে দেবে। কিন্তু কোথায় কী! টাকাটা যেন ফেরত পাই, এটাই চাই শুধু”।
তবে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী। তাঁর কথায়, “আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত। ছেলেটার বাবা আমার কাছে এসেছিল। ওঁ বলেছিলেন, যাতে কোনও চাকরির ব্যবস্থা করে দিই। আমি একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছিলাম। তারপর কী করেছে ওরা, কী টাকা পয়সা দিয়েছে, সেটা ওঁরাই জানে। আমার সঙ্গে কিন্তু কোনও লেনদেন হয়নি”। তবে এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমা শাসক।
এই বিষয়ে পুড়শুড়ার বিধায়ক বলেন, “চাকরি দেওয়ার নাম করে কিংবা প্রলোভন দেখিয়ে তৃণমূলের নেতানেত্রীরা টাকা নিচ্ছেন। এখন ইডি-র স্ক্য়ানারে আসছে। আমার কাছে এখনও কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে বিষয়টা আমরা দেখব”।